বিতর্ক যতই থাক, বিয়ের পর খোশ মেজাজেই দিন কাটছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর। একে অপরে ডুবে রয়েছেন তাঁরা। বিয়ের পর কতটা বদলেছে শ্রীময়ীর জীবন। সম্প্রতি এবিষয়েই মুখ খুলেছেন কাঞ্চন ঘরণী, অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ।
আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, বিয়ের পর শ্রীময়ীর বদল নিয়ে কাঞ্চন মল্লিক মজা করে বলেন, 'এখন বেশ অন্যরকম লাগছে। সিঁথিতে সিঁদুর পরানোর পর থেকেই আলাদা। যেন অন্য বৌদি।' এদিকে তাঁর সঙ্গে বিয়ের পর স্বামী কাঞ্চন মল্লিকের বদল নিয়ে শ্রীময়ী বলেন, ‘কী যে হয়েছে ওর। হঠাৎ দেখি আমি একটানা কথা বলে যাচ্ছি। আর ও আমার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রয়েছে। আসলে আমাদের বন্ধুত্ব থেকে বিয়ে, তারপরে প্রেম। এই সম্পর্কের কম লড়াই তো ছিল না। এটাকে পরকীয়া বলে দাগিয়ে দেওয়া হল। তারপর কাঞ্চনের বিচ্ছেদ নিয়ে ওঠাপড়া। বিয়ে যে হবে সেটাও ভাবিনি।’
আরও পড়ন-পাশা বদলে গেল! নন ফিকশন TRP-তে রচনার দিদি নম্বর ১-এর বড় ধাক্কা, সবাইকে ছাপিয়ে গেল জলসা
সাক্ষাৎকারে তৃতীয় বিয়ের প্রসঙ্গে কাঞ্চন বলেন, ‘তৃতীয় বিয়ে করেছি বেশ করেছি।’ এর আগে প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কির সাক্ষাৎকার এবং ছেলে ওশের প্রসঙ্গে কাঞ্চন বলেন, ‘ওরা ভালো থাকুক। ছেলে মানুষ হোক। ওর শৈশবে যেন বার্ধক্য না আসে।’ পরে শৈশবে যেন বার্ধক্য না আসে, এই কথার অর্থ বুঝিয়ে কাঞ্চন বলেন, ‘ছেলের মুখে যেন ভারী শব্দ না বসিয়ে দেওয়া হয়। ওর প্রাণবন্ত শৈশব…’। অর্থাৎ কাঞ্চনের কথাতেই স্পষ্ট তিনি কী বলতে চেয়েছেন। ছেলে ওশ বলেছে বলে পিঙ্কি যে মন্তব্যগুলি করেছিলেন, সেগুলি আদপে ছেলের নয়। ওর মুখে বসানো হয়েছে। এমনটাই মনে করেছেন বিধায়ক, অভিনেতা।
আনন্দবাজারকে কাঞ্চন বলেন, তিনি ছেলেকে নিরপেক্ষ স্থানে দেখতে চেয়েছিলেন। তবে অপরপক্ষের অনুমতি মেলেনি। কাঞ্চন মল্লিকের দাবি, প্রাক্তন স্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ওশের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পিঙ্কির বাড়িতে কিংবা আদালতে দেখা করতে হবে। তবে কাঞ্চনের বক্তব্য, তিনি ছেলেকে আদালতে টেনে নিয়ে যেতে চাননি।
এদিকে কাঞ্চনের মতো বিবাহ-বিচ্ছিন্ন পুরুষকে বিয়ে প্রসঙ্গে শ্রীময়ীর দাবি, বিবাহ-বিচ্ছিন্ন পুরুষকে বিয়ে করায় তিনি কোনও ভুল দেখেন না। তাঁর কথায়, বরং বিবাহ-বিচ্ছিন্ন পুরুষকেই বিয়ে করা উচিত। কারণ, কাঞ্চন এর আগের বিয়েতে যে ভুল করেছেন, সেগুলি আর তাঁর সঙ্গে ঘটবে না।
এদিকে কথা বলতে বলতেই পিঙ্কিকে তুই বলে বসেন কাঞ্চন। সেকী বিয়ের পরও তুই তোকারি! (সাধারণত যা হয় না) একথা শ্রীময়ী বলেন, ‘মাঝে মধ্যে হয়ে যাচ্ছে। দাদাও বলে ফেলছি’।