বিতর্কের মুখে ছাই দিয়ে চুটিয়ে নিজেদের বিবাহিত জীবনকে উপভোগ করছেন কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টোরাজ। এর আগে দেখা গিয়েছিল শিবরাত্রি পালন করেই, বউকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছেন কাঞ্চন অষ্টমঙ্গলায়। ২ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা।
সাদা-গোলাপি চেক শার্টে অষ্টমঙ্গলায় গিয়েছিলেন কাঞ্চন। নতুন বউ শ্রীময়ীকে দেখা গিয়েছিল, ট্রাডিশনাল সিল্কের শাড়িতে। তাঁর সিঁথিতে ছিল সিঁদুর, ঠোঁট রাঙিয়েছেন লাল লিপস্টিকে, আর গলায় সোনার মোটা হার।
আর বিয়ের পর বাড়িতে যেতে না যেতেই কাঞ্চন পত্নীর ভয়, ‘ভেঙে যাবে যে’! আসলে মা-কে নিয়ে তিনি বেরিয়েছিলেন কিছু কাজে। আর তখনই রিক্সা চড়ান। রিক্সা ভ্রমণের একটি ভিডিয়োও তিনি ভাগ করে নিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। বলতে শোনা যাচ্ছে, একসময় রিক্সা চেপেই স্কুলে যেতেন। কিন্তু এখন আর চড়া হয় না।
আরও পড়ুন: পুরনো ভিডিয়োতে ‘সারা সুলতান’ নাম, ওজন ৯৬ কেজি, আর কী লুকিয়েছেন সারা আলি খান?
নিজের ওজন আর চেহারা নিয়ে খানিক মস্করা করে বলতে শোনা গেল শ্রীময়ীকে, ‘আমিই তো সব জায়গা নিয়ে বসে আছি। মা কোনওরকমে একটু জায়গা পেয়েছে। ভয় লাগছে ভেঙে না যায়…’
দেখা গেল সিঁথিতে মোটা করে সিঁদুর পরে আছেন তিনি। কপালেও সিঁদুরের টিপ। একটি স্লিভলেস কুর্তি। কাঁধে ব্যাগ।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের বিয়ে গোপনে…’, কে প্রপোজ করেছিল কোয়েল না অরিজিৎ? প্রকাশ্যে আনলেন গায়ক
কাঞ্চন-শ্রীময়ী বিতর্কে জড়ান তাঁদের ৬ মার্চের রিসেপশনের শেষে। যেখানে দেখা গিয়েছিল, বিয়ের ভেন্যুতে বর-বউয়ের নামের বোর্ডের নীচে লেখা রয়েছে, ‘দয়া করে! সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও ড্রাইভারদের প্রবেশ নিষেধ।’ আর এমন বার্তা কার্যত হতবাক করে সকলকে। এমন অবমাননাকর বার্তা যে বিয়ের মতো শুভ ও আনন্দের অনুষ্ঠানে থাকতে পারে, তা ভাবতে পারেন না কেউই!
আরও পড়ুন: ‘এত মোটা টাকা…’! আরবাজ-সুরা বিয়ে করতেই, খোরপোশের অঙ্ক নিয়ে মুখ খুললেন মালাইকা
তবে এই ঘটনার জন্য কাঞ্চন শ্রীময়ী অভিযোগ তুলেছেন যেখানে রিসেপশন পার্টি হয়েছিল, সেখানকার কর্তৃপক্ষের দিকে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে শ্রীময়ী জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের কোনও কার্ডে এমন লেখা ছিল না। আমরা শুধু হোটেলকে বলেছিলাম কেউ যদি সংবাদমাধ্যম কর্মী, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও ড্রাইভারদের পরিচয়ে প্রবেশ করতে চায়, তবে অনুমতি না দিতে। কারণ এই পরিচয়গুলো ভুয়ো হওয়াক সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। হোটেল থেকে এরকম লেখা হয়েছে, আমাদের কাছে এই নিয়ে কোনও খবর ছিল না।’
যদিও সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ মানতে রাজি নয়, কাঞ্চন-শ্রীময়ীর ‘ভিত্তিহীন’ দাবি।