চলতি মাসের শুরুতেই কঙ্গনা রানাওয়াতের নামে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল মুম্বইয়ের আদালত। বর্ষীয়ান গীতিকার, কবি জাভেদ আখতারের দায়ের করা মানহানির মামলায় অন্ধেরির এক নিম্ন আদালতের তরফে কঙ্গনার নামে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট দিনে আদলতে উপযুক্ত কারণ না জানিয়ে হাজিরা না দেওয়ার জেরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল আদালত। তবে বৃহস্পতিবার অনেকখানি স্বস্তি পেলেন অভিনেত্রী।
এদিন অন্ধেরির আদালতে হাজিরা দেন কঙ্গনা। এরপর আদালতে তাঁর নামে জারি জামিনযোগ্য পরোয়ানা খারিজের আর্জি জানান কঙ্গনা, একইসঙ্গে জামিনের আর্জিও আদালতের সামনে রাখেন তিনি। কঙ্গনার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। এর পাশাপাশি এদিন কর্নাটক হাইকোর্টের কাছ থেকেও বড় রেহাই পেলেন অভিনেত্রী। কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্যের জেরে কঙ্গনার নামে দায়ের এফআইআর খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, এক সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেলের মঞ্চে জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্যের জন্য গত বছর নভেম্বর মাসে কঙ্গনার বিরুদ্ধে অন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বর্ষীয়ান শিল্পী। গত ৩রা ডিসেম্বর এই মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দেন জাভেদ আখতার। আদালতের তরফে জুহু পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে।পুলিশ, গত ১লা ফেব্রুয়ারি আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশ, এবং আদালতের তরফে সমন জারি করা হয় কঙ্গনার নামে। ১লা মার্চ আদালতে কঙ্গনা হাজির না হওয়ার, তাঁর নামে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।
নিজের আইনজীবী নীরঞ্জন মুন্দারগির মারফত কঙ্গনার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ নম্বর (মানহানি) ও ৫০০ নম্বর (মানহানির শাস্তি) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন বর্ষীয়ান শিল্পী জাভেদ আখতার।
রিপাবলিক টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গত বছর জুলাই মাসে জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা। হৃত্বিক-কঙ্গনা বিবাদের সময় নাকি নিজেদের দীর্ঘদিনের বন্ধু রোশন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে কঙ্গনাকে ‘শাসিয়েছিলেন’ জাভেদ আখতার। তিনি পরিষ্কার ভাষায় কঙ্গনাকে বলেছিলেন হৃত্বিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে, না হলে কঙ্গনার কাছে আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না।