বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > টর্নড জিনস পরা নিয়ে আজকের নারীদের খোঁচা কঙ্গনার, পেলেন মোক্ষম জবাব

টর্নড জিনস পরা নিয়ে আজকের নারীদের খোঁচা কঙ্গনার, পেলেন মোক্ষম জবাব

কঙ্গনা রানাওয়াত (ফাইল ছবি) (HT_PRINT)

কঙ্গনাকে চোখে আঙুল দিয়ে কঙ্গনার ছবিই দেখিয়ে দিল নেটিজেনরা। 

কঙ্গনা বিতর্ককে ছাড়তে পারেন না,নাকি বিতর্ক কঙ্গনাকে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে নেটিজেনদের মনে। প্রাচীন ভারতীয় নারীদের সম্মান প্রদর্শন করতে গিয়ে আজকের নারীদের নিয়ে‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করে বসছেন অভিনেত্রী। ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন, আজকের মেয়েরাও। কঙ্গনাকে মোক্ষম জবাব দিয়েছে তারাও।

কঙ্গনার কথায়, সমসাময়িককালে নজির গড়া মহিলারা ‘আমেরিকার ছেঁড়া জিনস আর রাগস পরতেই অভ্যস্ত’,নিজেদের সভ্যতা-সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকতে ভালোবাসে তাঁরা। এই মর্মে কঙ্গনা একটি পোস্ট শেয়ার করেন সেখানে দেখা মেলে ভারতের প্রথম (যৌথ) মহিলা চিকিত্সক আনন্দি রাও গোপালরাও জোশির। কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় ও আনন্দি রাও গোপালরাও জোশি ছিলেন উনবিংশ শতকের ভারতের দুই মহীয়সী নারী, যাঁরা ইউরোপ থেকে চিকিত্সা শাস্ত্রে স্নাতোক ডিগ্রী লাভ করেন। 

ভারতের আনন্দি রাও-এর ছবির পাশাপাশি সিরিয়া ও জাপানের দুই মহিলা চিকিত্সকের সাবেকি পোশাক পরা ছবি শেয়ার করে কঙ্গনা লেখেন, প্রাচীন যুগের এই বিদুষী নারীদের কুর্নিশ জানাই, যাঁরা শুরু নিজেদের ব্যক্তিসত্ত্বাকে তুলে ধরেননি, বরং একটা সমগ্র জাতি, সংস্কৃতি এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে। যদি আজকের দিনে কোনও নজির গড়া মেয়ের ছবি তোলবার হত তাহলে সে টর্নড আমেরিকান জিনস আর রাগসের মতো ব্লাউজ পরত, আমেরিকার মার্কেটিংয়ের প্রতিনিধি হয়ে যেত'।

এরপরই আসরে নেমে পরে কঙ্গনাকে চোখে আঙুল দিয়ে নেটিজেনরা মনে করিয়ে দেন, তিনিও মার্কিন ব্র্যান্ডের কম বড় ভক্ত নন। 

অনেকে যেমন কঙ্গনাকে ট্রোল করেছেন তেমনই অনেকেই প্রশংসাও করেছেন অভিনেত্রীর। নিজের বিদেশি ব্র্যান্ডেড এবং ডিজাইনার পোশাক পরে অন্যদের জ্ঞান না দেওয়াই ভালো মতে মত বেশিরভাগ জনের। এর জেরে কঙ্গনার গায়ে ‘হিপোক্রিট’ তকমাও সেঁটে দিয়েছেন অনেকে। 

কঙ্গনা বরাবরই সরব হয়েছে স্বদেশি জিনিস পত্রের প্রচারে। মোদীর ‘আত্মনির্ভর’ ভারত নিয়ে  আগেও অনেকবার মুখ খুলেছেন তারকা।

বন্ধ করুন