লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স চিকিত্সাধীন করোনা আক্রান্ত বলিউড গায়িকা কনিকা কাপুর। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাজেহান কনিকার ‘নখরা’য়। শনিবার দিনভর কার্যত হাসপাতাল মাথায় করে রেখেছেন এই করোনা আক্রান্ত রোগী। তারকার মতো নখরা না দেখিয়ে, কনিকাকে চিকিত্সকদের সঙ্গে সহযোগীতার করার আবেদন জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার কনিকা এই সরকারি হাসাপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে এখানে তাকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি চারদিন অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন-এক কথায় থাকার অযোগ্য। হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ আরকে ধীমান জানান, ‘কনিকাকে তাঁর চাহিদা অনুযায়ী গ্লুটেন ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। যে আইশোলেশন ঘরে তিনি রয়েছেন সেখানে আলাদা শৌচালয় রয়েছে, টেলিভিশন সেট রয়েছে। শুধু তাই নয়, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে রয়েছেন তিনি। তার দেখাশোনা করার ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না, তা সত্ত্বেও তারকার মতো নখরা ছেড়ে উনি রোগীর মতো ব্যবহার করছেন না’।
পুলিশ জানিয়েছেন ১১ মার্চ মুম্বই থেকে লখনউ পৌঁছান বেবি ডল গায়িকা। এবং প্রশাসনের তরফে তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল, যেহেতু ৯ মার্চ তিনি লন্ডন থেকে মুম্বইয়ে ফেরেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে অমান্য করে সামাজিকভাবে মেলামেশা বন্ধ করেননি শিল্পী। লখনউয়ের তাজ মহল হোটেলে ছিলেন কনিকা, সেখানে একটি হাইপ্রোফাইল পার্টিতে যোগ দেন।
শুক্রবারই করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানান কনিকা কাপুর। তিনি লেখেন,' চার দিন ধরে আমার জ্বর হয়েছিল। পরীক্ষা করে দেখলাম আমি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আমি ও আমার পরিবার এখন কোয়ারেন্টাইনড। যাদের সংস্পর্শে এসেছি, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমার এয়ারপোর্টে চেক হয়েছিল দশদিন আগে, তখন কিছু ধরা পড়েনি। আমি সুস্থ আছি, সাধারণ জ্বরের মতো একটু লাগছে।'
শনিবার টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কনিকা হাসপাতল থেকে জানান, সেখানে তাঁকে উপযুক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি তাঁর চিকিত্সাও সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। লখনউয়ের যে হাসপাতালে তাঁকে রাখা হয়েছে সেঠি নাকি একদম অপরিচ্ছন্ন। সেখানে অপরাধীদের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে, কনিকা বলেন, 'মনে হচ্ছে আমি জেলের মধ্যে রয়েছি'। এরপরই গায়িকাকে কড়া জবাব দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
লখনউ পুলিশ আগেই আইপিসির ১৮৮,২৬৯ এবং ২৭০ ধারায় কনিকা বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এছাড়াও শনিবার বিহারের এক আদালতে গায়িকার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সরকারের নির্দেশ অবমাননা করা এবং নোবল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। ৩১ মার্চ এই মামলার শুনানি।