আউটসাইডার সুশান্তকে কখনই নিজেদের পরিবারের অংশ হিসাবে মেনে নেয়নি বলিউড। বরং লাগাতার স্টারকিডদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন সুশান্ত। এমনই অভিযোগ কঙ্গনা রানাওয়াতের। ফের একবার সুশান্ত-সারার সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কঙ্গনা। বলিউডে লাগাতার সুশান্তের চরিত্র হনন করা হয়েছে বলে দাবি করেন কঙ্গনা।
এর আগে কঙ্গনা টুইটারে সারা-সুশান্তের ব্রেক আপ প্রসঙ্গে দাবি করেছিলেন সারার কারণেই এক শকুনের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন সুশান্ত। শকুন বলতে যে কঙ্গনার ইশারা ছিল রিয়া চক্রবর্তীর প্রতি তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারুর।
বুধবার টাইমস নাওকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কঙ্গনা বলেন,সারার সত্ মা,করিনাও সুশান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। সারাকে বলেছিল- ‘নিজের প্রথম হিরোকে ডেট করো না’। যখন সুশান্ত-সারা প্রেম চলছিল, ওঁরাই বাধ্য করেছিল সারাকে ওই সম্পর্ক থেকে সরে আসতে। ‘করিনা প্রকাশ্যে সারাকে এই উপদেশ দিয়েছে, তার অর্থ ও সুশান্তের চরিত্র হনন করেছে, ওকে বিদ্রুপ করেছে। ছেলেটাকে সম্পূর্ন রূপে কোণায় ঠেলে দিয়েছিল ওঁরা। এরপর একদল শকুন এসে যা করবার ওর সঙ্গে করেছে’।
উল্লেখ্য, ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি মাসে জি ক্যাফের টক শো ‘দ্য ডাবল ট্রাবল উইথ করিনা কাপুর, স্টারি নাইট ২.ওহ’ তে এই মন্তব্য করেছিলেন বেবো। অমৃতা অরোরা করিনাকে প্রশ্ন করেন-সারাকে একটি উপদেশ দিতে হলে তিনি কী বলবেন? করিনার সপাট উত্তর ছিল- ‘নিজের প্রথম হিরোকে কোনদিনও ডেট করো না’।
উল্লেখ্য ঠিক এই সময়ই সম্পর্ক ভেঙেছিল সুশান্ত-সারার, দাবি করেছেন সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা একসময় তাঁর প্রফেশান্যাল টিমের সদস্য স্যামুয়েল হোকিপ। গত মাসেই ইনস্টাগ্রামে সারা-সুশান্তের চর্চিত প্রেম কাহিনি নিয়ে বোমা ফাটান স্যামুয়েল। সেই খবরের লিঙ্ক টুইট করে কঙ্গনা লিখেছিলেন ‘এসএসআর এবং সারার প্রেম সম্পর্কে খবর গোটা মিডিয়া জুড়ে ছিল, এবং শোনা যায় যে ওঁরা নাকি আউটডোর শ্যুটিং চলাকালীন একটা রুমেই থাকত, কেন এইসব নেপো-কিড সোনালি স্বপ্ন দেখায় আউটসাইডারদের,যদি প্রকাশ্যে ওঁদের ছুঁড়েই ফেলে দেবে? এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই এরপর ও (সুশান্ত) একটা শকুনের ফাঁদে পা দিয়েছিল’।
স্যামুয়েল নিজের ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে লিখেছিলেন- 'একে-অপরকে প্রচণ্ড ভালোবাসত সুশান্ত-সারা' কিন্তু সোনচিড়িয়ার বক্স অফিস ব্যর্থতার পরে আচমকাই ভেঙে যায় দুজনের সম্পর্ক।আমার মনে আছে কেদারনাথের প্রমোশনের সময়..সুশান্ত-সারা পুরোপুরি একে অপরের প্রেমে ছিল…ওদের আলাদা করা যেত না..প্রচণ্ড পবিত্র,একদম শিশুদের মতো নিষ্পাপ ভালোবাসা। দুজনের প্রতি এত সম্মান ছিল যা আজকাল কোনও সম্পর্কে সচরাচর দেখা যায় না'।
কঙ্গনা টাইমস নাওকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, যাঁরা সুশান্তকে বলিউড থেকে নির্বাসিত করেছিল, তাঁরাই কঙ্গনাকে টার্গেট করে চলেছে। তিনি যোগ করেন, ‘প্রথমে মুভি মাফিয়ারা সুশান্তকে টর্চার করেছে, ওকে ব্যান করেছে। আমি আগেই বলেছি সে কথা। ওইসব প্রোডাকশন হাউজের নিজস্ব পোষা মিডিয়া রয়েছে-যাঁরা ক্রমাগত ওর চরিত্র হনন করেছে, ওর নামের পাশে ধর্ষক তকমা জুড়ে দিয়েছিল এবং কোণাঠাসা করে দিয়েছিল’।