বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ এবং নিজের শৈশব নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান। একা হাতে দুই মেয়েকে বড় করেছেন মা ববিতা কাপুর। বাবা-মায়ের সম্পর্ক যে জোরালো নয়, তা খুব অল্প বয়সে বুঝে গিয়েছিলেন করিশ্মা-করিনা, এতদিন পর খোলসা করলেন বেবো।
সাক্ষাৎকারে করিনা আরও বলেন, বাবা রণধীর কাপুর নাকি সব সময়ে ছায়ার মতো তাঁদের পাশে থাকতেন। যখনই রণধীর কাপুর এবং ববিতা কাপুরকে তাঁদের একসঙ্গে প্রয়োজন হত, তাঁরা একসঙ্গে হতেন।
মোজো স্টোরিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করিনা বলেন, তাঁর মা ববিতা কাপুর তাঁর সব থেকে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তবে যখনই তাঁর বাবার প্রয়োজন হত, রণধীর কাপুর সবসময় পাশে থাকতেন চুপিসাড়ে, কাউকে সেটা বুঝতে দেননি। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সব সময় পিছনে থেকে সব কিছু সামাল দিতে ভালবাসেন। তিনি নির্দেশ দিয়ে মনোযোগ টানতে পছন্দ করেন না।
অভিনেত্রী বলেন, তাঁর বাবা মায়ের সম্পর্কের সমীকরণ দারুণ। যখনই তাঁরা অনুভব করতে পারে, এক ছাদের নীচে তাঁদের থাকা সম্ভব নয়, তাঁরা দুজনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। তবে যখনই প্রয়োজন হয়েছে তাঁরা একজোট হয়েছে। সন্তানদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পালন করেছেন। তিনি এবং করিশমা এটা খুব ছোট বয়সেই বুঝে গিয়েছিলেন। তাঁরা হয়তো একছাদের নীচে থাকেন না তবে গত ৩৫ বছর ধরে এভাবেই সম্পর্কের বজায় রেখে চলেছেন। আলাদা থাকলেও বন্ধুত্বের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায়, একসঙ্গে সন্তানদের দায়িত্ব পালন করা যায় সেটা ববিতা ও রণবীর কাপুর সুচারুভাবে করে দেখিয়েছেন।
১৯৭১ সালের ৬ নভেম্বর বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন রণধীর কাপুর এবং ববিতা কাপুর। ‘আজ অউর কাল’ ছবির মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক হওয়ার পরই বিয়ে সেরে ফেলেন রণধীর। ছবিতে রণধীরের বিপরীতে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ববিতা কাপুর। পরের বছর ‘জিত’ ছবিতে একসঙ্গে দেখা যায় দু'জনকে।
১৯৮৮ সালে রণধীর এবং ববিতা আলাদা থাকতে শুরু করেন। হিন্দুস্তান টাইমসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা রণধীর কাপুর জানিয়েছিলেন, তিনি প্রচুর নেশা করতেন এবং রাতে মদ্যপ অবস্থায় দেরি করে বাড়ি ফিরতেন। তাঁর এভাবে জীবনযাপন ববিতার একেবারেই পছন্দ ছিল না, যদিও তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন আলাদা থাকার। এরপরই তিনি মা-বাবার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ববিতার তাঁদের দুই মেয়ে করিশ্মা ও করিনাকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করে। বর্তমানে তাঁদের সন্তান সুপ্রতিষ্ঠিত। একজন বাবা হিসেবে এর থেকে বেশি তিনি আর কিছুই চান না, মন্তব্য রণধীরের।