শুক্রবার গণেশ চতুর্থীর উত্সবে মেতে উঠেছে মায়ানগরী। পিছিয়ে নেই সইফ-করিনাও। এদিন ঘরোয়া আয়োজনেই গণেশ পুজো সারলেন সইফ-করিনা-তৈমুর। জাহাঙ্গীরের প্রথম পুজো, স্বাভাবিকভাবে এই গণেশ চতুর্থী একটু বেশি স্পেশ্যাল সইফ-করিনার কাছে। পাশাপাশি নতুন বাড়িতে মাস কয়েক আগেই শিফট করেছেন তারকা দম্পতি, এই বাড়িতে প্রথমবার গণেশ বন্দনা করলেন সইফ-করিনা। তৈমুরের হাতে তৈরি কাদা মাটির গণেশও এদিন পূজিত হলেন করিনার ঘরে। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে শেয়ার করে নিয়েছেন বেবো।
কাদামাটি দিয়েই নিজের মতো গণেশ ঠাকুর গড়েছে টিম টিম (তৈমুরকে এই নামে ডাকেন করিনা)। সেই ঠাকুর নীল-কমলা-হলুদ রঙ দিয়ে তৈরি। সাবেকি পোশাকে সেজে ‘বিঘ্নহর্তা’র কাছে করজোরে প্রার্থনা করছে তৈমুর ও সইফ, মুগ্ধ দৃষ্টিতে ছেলের দিকে তাকিয়ে করিনা। ছোট ছেলে জেহ-র ছবি করিনা শেয়ার করেননি, তবে সঙ্গী যে সেও তা ভালোভাবেই আন্দাজ করাই যায়।
এই মিষ্টি ছবিতে ভালোবাসা জানিয়েছেন বলিউডের সদস্যরা, করিনার ভক্তরাও তৈমুরের তৈরি কাদামাটির গণেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছে। যদিও নেটপাড়ার একাংশের কাছে বিদ্রুপের মুখে পড়লেন সইফিনা। নিন্দুকদের কথায়, ‘মুসলিম হয়ে কীভাবে গণেশ চতুর্থী পালন করছেন সইফিনা?’ কেউ কেউ তো কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘মৌলবাদীরা আপনাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করল বলে!’
উল্লেখ্য, এর আগে বহুবার দুই ছেলের নাম নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন করিনা ও সইফ। স্বৈরাচারী মুসলিম শাসক তৈমুর লং ও মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামানুসারে দুই ছেলের নাম রাখায় সমালোচিত হয়েছে তারকা জুটি। যদিও ট্রোলারদের কোনওদিনই পাত্তা দেন করিনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি এই নাম-বিতর্ক প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমাদের তো অন্যান্য কাজও রয়েছে। সেখানে শুধু এই ট্রোলিং কিংবা কে কী বললো এসব নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে কেন!’
ট্রোলারদের নিয়ে করিনার বক্তব্য, ‘ সবার এতো মাথাব্যাথা, তৈমুর ৩০০ বছর আগে কী করেছিল সেই নিয়েও লোকে আলোচনা শুরু করল। ব্যাপারটা হল নাম হিন্দু হোক বা মুসলিম হোক, এই নামটা আমরা পছন্দ করেছি। সইফ নামটাও মুসলিম, আমার এই নামটা দারুণ পছন্দ। কেন আমি আমার পছন্দমতো ছেলের নাম নাম রাখব না?’