আবারও বিতর্কে কার্তিক আরিয়ান। গত কয়েকদিন ধরেই আল্লু অর্জুনের ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু’-র হিন্দি সংস্করণ মুক্তি নিয়ে নানান জটিলতা তৈরি হয়েছিল, শেষমেষ মুক্তি আটকে গিয়েছে এই ছবির। প্রযোজক মণীশ শাহ ফাঁস করলেন ‘শেহজাদা’ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন কার্তিক আরিয়ান, সেই কারণেই ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু’-র মুক্তি আটকেছে। উল্লেখ্য, এই ছবির অফিসিয়্যাল হিন্দি রিমেক ‘শেহজাদা’। কার্তিকের এই কাজকে এক্কেবারে ‘অপেশাদার’ বলে উল্লেখ করেন গোল্ডমাইন টেলিফিল্মসের ডিরেক্টর মণীশ শাহ।
মণীশের কাছে ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু’ হিন্দিতে ডাবিং করবার স্বস্ত্ব রয়েছে। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। থিয়েটারে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু’ ডাবড ভার্সন, তবে তেমনটা হল না শুধুমাত্র কার্তিকের জন্য, এমনটাই অভিযোগ প্রযোজকের।
ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, ‘শেহজাদা ছবির নির্মাতারা একেবারেই চাইছেন না আলা বৈকুন্ঠুপুরামুলু ছবিটি হিন্দি ডাবিং-এ থিয়েটারে মুক্তি পাক, পাশাপাশি কার্তিক আরিয়ান হুমকি দিয়েছে এই ছবি মুক্তি পেলে শেহজাদা ছেড়ে বেরিয়ে যাবে ও। তেমনটা ঘটলে নির্মাতাদের প্রায় চল্লিশ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এটা খুব অপেশাদারের মতো একটা কাজ’।
মণীশ যোগ করেন, শেহজাদা প্রযোজকদের সঙ্গে ১০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাঁর। ওই বিরাট অঙ্কের ক্ষতির হাত থেকে শেহজাদা প্রযোজকদের বাঁচাতে ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু’-র হিন্দি সংস্করণের মুক্তি রুখে দিয়েছেন তিনি। তবে এর জেরে তাঁকে প্রায় ২০ কোটি টাকার লোকসানের ভার বইতে হবে। মণীশ শাহ জানিয়েছেন ছবিটি ডাবিং করতেই প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায় করেছেন তিনি। মণীশ যোগ করেন, ‘আমি চেয়েছিলাম এই ছবিটা পুষ্পা: দ্য রাইজ-এর চেয়েও বড় মাপের হোক। এবার আমি ছবিটা একদম রিলিজ না করলে সব টাকাটাই হারাব, এখন আমি নিজের চ্যানেলে এটা রিলিজ করব। আমি কার্তিক আরিয়ানের জন্য কিছুই করতাম না। আমি ওকে চিনি না। আমি সিদ্ধান্ত বদলেছি একমাত্র আল্লু অরবিন্দের জন্য’।
উল্লেখ্য, আল্লু অর্জুনের বাবা আল্লু অরবিন্দ ‘শেহজাদা’ ছবির যৌথ প্রযোজক। তাঁর অনুরোধেই সিদ্ধান্ত বদল করেছেন প্রযোজক মণীশ শাহ। ২০২২-এর নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা এই ছবির। কার্তিক আরিয়ানের এই ছবিতে থাকছেন মণীশা কৈরালা এবং পরেশ রাওয়ালও।