কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে চলতি সপ্তাহ জুড়ে চলেছে স্টুডেন্টস স্পেশ্যাল উইক। এই সপ্তাহে হট সিটে বসা স্কুলের পড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অমিতাভ। তবে বাস্তবে দেখা গেল, প্রশ্নের তোড়ে ভেসে গেলেন 'বিগ বি' নিজেই। কেবিসি হোস্টের বাড়ির অন্দরের সম্পর্কিত সব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আরাধি গুপ্তা নামের এক খুদে প্রতিযোগী। শেষপর্যন্ত সেইসব প্রশ্নে নাকানি চোবানি খেয়ে তাঁকে শো থেকেই চলে যেতে বললেন অমিতাভ!
হট সিটে বসেই আরাধি জানায় যে ছোট থেকেই তার বড় ইচ্ছে একজন সাংবাদিক হওয়ার। এই ইচ্ছের কথা জানিয়েই অমিতাভকে তার অনুরোধ ছিল সে 'বিগ বি'-র একটি ছোট সাক্ষাৎকারে নিতে পারে কি না। শোনামাত্রই খুশিমনে সেই অনুরোধে সায় দেন তিনি। 'হ্যাঁ' শোনামাত্রই অমিতাভের উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুড়তে শুরু করেন আরাধি। অমিতাভের ছোটবেলা থেকে তাঁর নাতনি আরাধ্যার বিষয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পরে একটি প্রশ্ন শুনে থতমত খেয়ে যান 'শাহেনশাহ'।
অ্যামাজন সংস্থার অ্যালেক্সার সঙ্গে অমিতাভের চুক্তি সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন রেখেছিল আরাধি, 'অ্যালেক্সাতে আপনার স্বর ব্যবহার করা হয়েছে। আচ্ছা, আপনার বাড়িতে যখন জয়া আন্টি বাতানুকূল যন্ত্র চালু করার জন্য অ্যালেক্সাকে নির্দেশ দেন তখন কি অ্যালেক্সা জবাব দেয় না কি আপনি 'জি হুজুর' বলে ওঠেন?' সেই প্রশ্ন শুনে শো-তে উপস্থিত হওয়া দর্শকের দল সানন্দে হর্ষধ্বনি দিয়ে উঠলেও দৃশ্যতই স্তম্ভিত হয়ে যান অমিতাভ। তবে তিনি যে যথেষ্ট মজাও পেয়েছেন তা বলা গেল তাঁর দেওয়া জবাবে, 'এই যে সাংবাদিক মহাশয়, আমি আর এই সাক্ষাৎকার দিতে চাই না। আপনি দয়া করে আমার বাড়ি ছেড়ে এইমুহূর্তে কেটে পড়ুন। কী দারুণ সব প্রশ্ন করছেন!'
যদিও এরপর অবশ্য ওই খুদে প্রতিযোগীর প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন 'শাহেনশাহ'। জানিয়েছেন তাঁদের বাড়িতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র রিমোটের সাহায্যের চালানো।অ্যালেক্সাকে মোটেই নির্দেশ দেওয়া হয় না। তাই তাঁর 'জ্বী হুজুর' বলার কোনও প্রয়োজনই পড়ে না'।
উল্লেখ্য, এই সপ্তাহে এই খুদেরা যে ধনরাশি জিতেছেনতা পয়েন্ট হিসেবে গচ্ছিত থাকবে, এবং ১৮ বছর হওয়ার পর তাঁরা তা ব্যবহার করতে পারবেন।