মিষ্টির বাচ্চাকে মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার জেরে গুনগুনের উপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ দর্শক। পুচুসোনাকে নিয়ে গুনগুনের আচরণ একেবারেই বেমানান ঠেকেছে দর্শকদের। মধ্যবিত্ত পরিবারের সুখ-দুঃখের গল্পের বদলে একজন বাচ্চা ‘অবসেশড’ গুনগুনকে দেখতে না-রাজ দর্শক। মিষ্টি-গুনগুনের ঝগড়ার মাঝে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছে পুচুসোনা। এরপরই চিকিত্সক পুচুসোনাকে হাসপাতালে ভর্তি করবার কথা বলেছে। এই ঘটনার জন্য গুনগুনকেই দায়ী করেছে গোটা পরিবার, ব্যতিক্রম একমাত্র পটকা। বাবিনও গুনগুনের পক্ষ নিয়ে কথা বলেনি, তবে পটাকা গুনগুনের সমর্থনেই সমানে কথা বলে চলেছে।
বুধবারের এপিসোডে দর্শক দেখবে পুচুসোনাকে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হবে ঋজু, বাবিনরা। গুনগুন একদিকে কেঁদে ভাসাচ্ছে পুচুসোনার জন্য, অন্যদিকে এই অবস্থার জন্য মিষ্টির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলবে সে। পালটা ঋজু জানায়, ‘আমার মেয়ে কি তোমার খেলার পুতুল? তুমি একটা সুস্থ বাড়িকে ব্যস্ত করেছো…. কেন ওকে ওর মায়ের কাছে রাখোনি’। ঋজু সাফ জানায়, 'মিষ্টিই ওর পাশে থাকবে, অন্য কারুর ছেলেমানুষি,জেদ আর খাটবে না'। পটকা গুনগুনকে বোঝানোর চেষ্টা করে, ‘তুমি ওর কেউ নও গুনগুন, ওর বাবা-মা আছে। ওর প্রতি অধিকার কিন্তু শুধু ওর বাবা-মায়েরই আছে। নিজের অধিকারের বাইরে যেও না। দূর থেকে ভালোবাসার চেষ্টা কর ওকে’।
গুনগুনের মুখে একই বুলি, ‘আমি কিচ্ছু করিনি। বৌদিভাই ওকে খাওয়াতে চায়নি। এরপর বৌদিভাই ধাক্কাধাক্কি শুরু করে, আর পুচুসোনা পড়ে গেল’। পটকা এতকিছুর পরেও গুনগুনের পক্ষ নেওয়ায় ঋজু বলে, ‘যাদের সন্তান তারাই বোঝে পটকা’। গুনগুন এরপর পটকাকে জানায়, ইউএস-তে থাকবার সময় পাশের বাড়ির এক বেবি ছিল যে কঠিন রোগে মারা যায়। সেই বেবিটার মৃত্যু গুনগুনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, তারপরই গুনগুনকে নিয়ে এ দেশে ফিরে আসে তাঁর ড্যাডি। এরপর ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যেতে হয়েছিল গুনগুনকে।
দর্শকরা কিন্তু গোটা ঘটনায় বেশ ক্ষিপ্ত শুধু গুনগুন নয়, পটকার উপরও। একজন লিখেছেন, ‘গুনগুনের সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম আছে সেটা দেখাতে লেখিকার কি সমস্যা… উনি তো সব গল্পেই নায়িকাকে মহান দেখাতে গিয়ে অন্যদের ছোট করে দেন’। একজন লিখেছেন, ‘পটাকার প্রথম থেকেই অনেক দোষ… উনি শুরু থেকেই গুনগুনকে নাচান… সেই অনেক দিন আগেই শান্তিনিকেতনে বাবিনকে প্র্যাঙ্ক করে ডাকলেন, দুটো কথা শুনিয়েছিল বলে গায়ে লেগেছিল, ট্রান্সফার নিতে চেয়েছিল’। কেউ লিখেছেন, ‘এতো পক্ষপাতদুষ্ট লোক আগে দেখেনি। সবেতেই উনি গুনগুন অবশেসড’।