পরিচালনায় হাতেখড়ি হতে চলেছে ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রার। বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মীনা কুমারীর বায়োপিকে পরিচালকের আসনে দেখা যাবে তাঁকে। পরিচালক হিসেবে মণীশের নাম শুনে খানিক চমকে গিয়েছেন অনেকেই। এবার সেই খবরই যে সত্যি তা সিলনমোহর দিলেন খোদ ফ্যাশন ডিজাইনার। মণীশ মালহোত্রা নিজেই জানিয়েছেন, এবার পরিচালনায় হাতেখড়ি হচ্ছে তাঁর।
একটি নিউজ পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণীশ মালহোত্রা বলেছেন, তিনি নিজেই জানেন না কীভাবে এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর কথায়, স্ক্রিপ্টের উপর কাজ চলছে। ডিজাইনার আরও জানিয়েছেন, মীনা কুমারীর উপর লেখা বইগুলি তিনি পড়ছেন। যোগ করেছেন, তিনি সর্বদা মীনার প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। আরও পড়ুন: ‘আগে থেকে এ বিষয় পরিষ্কার ছিলাম’, অভিনয়ে না যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে অকপট নভ্যা নভেলি
ফিল্ম কম্প্যানিয়নকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মণীশ মালহোত্রা জানিয়েছেন, 'এক সময় অভিনেত্রী রেখা আমাকে বলেছিলেন, ৪০-এ পা দেওয়ার পরে নাকি মীনা কুমারীর জীবনকে আরও ভালো ভাবে বুঝতে পারব। এমনকি শুধু মীনা কুমারী নন, নার্গিস, গুরু দত্ত, দিলীপ কুমারের জীবনকেও নতুন ভাবে বুঝতে পারব। এখন তাঁদের সিনেমা দেখে জিনিসগুলি আত্মস্থ করতে পারছি'। এত দিন ফ্যাশনের জগত নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মণীশ। তবে ফ্যাশন ডিজাইনারের দাবি, এ বার ছবি পরিচালনায় মন দিতে চান তিনি।
বলিউডের ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মীনা কুমারী। শোনা যাচ্ছে ষাট ও সত্তরের দশকের নায়িকার চরিত্রের জন্য অভিনেত্রীও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, মীনা কুমারীর ভূমিকায় এই ছবিতে অভিনয় করতে পারেন কৃতি শ্যানন।
তবে সম্প্রতি একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মীনা কুমারীর বায়োপিক নিয়ে আপত্তি তুললেন তাঁরই পালিত ছেলে তাজদার আমরোহি। মীনা কুমারী এবং তাঁর স্বামী কমল অমরোহীর পুত্র তাজদার অমরোহী। যিনি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির কিছু মানুষ দেউলিয়া ও চোর হয়ে উঠছে দিনদিন। তাদের কোনও অধিকার নেই অসভ্যের মতো আমার এলাকায় হঠাৎ ঢুকে পড়ার।’
তাজদার আমরোহি আরও বলেন, ‘উনি আমার মা ছিলেন। আর কমল আমরোহি আমার বাবা। এই লোকগুলিকে বলুন তো নিজেদের মা-বাবাকে নিয়ে সিনেমা বানাতে, যদিও এরা পারবে না। কারণ তাদের জন্য ওরা কেউই নয়। সে যাই হোক, ওরা যা বানাবে তা মিথ্যের উপর ভর করেই বানাবে। আমি এখন আমার আইনজীবীর কথামতো কাজ করব।’
মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন মীনা কুমারী। যকৃতের অসুখ কেড়ে নেয় প্রাণ। তবে সেই স্বল্প দিনের চলচ্চিত্র কেরিয়ারে ৯০টির বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন। মীনা কুমারীর বায়োপিকটি প্রযোজনার দায়িত্বে থাকছে ভূষণ কুমারের সংস্থা টি-সিরিজ।