কিংবদন্তি ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার তথা তাঁর বাবা স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসকে ২২ গজে খেলতে না দেখার আক্ষেপ কোনওদিন তাঁর যাবে না, জানালেন কন্যা মাসাবা গুপ্তা। এমনকি ১৯৮৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর বাবার খেলা দেখতে না পাওয়ার দারুণ আফসোস রয়েছে তাঁর, সেকথাও খোলাখুলি প্রকাশ করলেন মাসাবা। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ৮৩র ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফাইনাল ম্যাচের একটি ছবিও আপলোড করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সেই ফাইনালে ৪৩রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি এসেছিল ভারত।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সেই ক্লিপ শেয়ার করে মাসাবা লিখেছেন, 'স্টেডিয়ামে বসে কোনওদিন বাবার খেলা দেখতে না পারাটা আমার জীবনের সবথেকে বড় আক্ষেপ থেকে যাবে। আমি সেই সময়ে এতটাই ছোট্ট ছিলাম যে তা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৩ সালের সেই ম্যাচও দেখতে পারিনি। কারণ তার আরও বছর ছয়েক পর জন্মেছিলাম যে!
ভিভিয়ান রিচার্ডস এবং নীনা গুপ্তার সন্তান মাসাবা। যদিও তাঁরা কোনওদিনও বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হননি। ছোট থেকেই একা হাতে মাসাবাকে বড় করেছেন নীনা। জীবন যেমন বেঁচেছেন নিজের শর্তে, মাসাবাকেও সেই শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে কিংবদন্তি ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে তাঁর ও তাঁদের মেয়ে মাসাবা গুপ্তার সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বলি-অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা। জানালেন, একে ওপরের প্রতি তাঁদের পারস্পরিক সম্মানের কথা। নীনা আরও জানান তিনি আজ পর্যন্ত ভিভের ব্যাপারে তাঁদের মেয়ে মাসাবার কাছে কোনও খারাপ কথা বলেননি। ভবিষ্যতেও মাসাবার কানে তাঁর বাবার ব্যাপারে 'বিষ ঢালবেন না' তিনি। ওই সাক্ষাৎকারে এই বর্ষীয়ান বলি-অভিনেত্রী আরও জানান ভিভকে ভালোবেসেছিলেন বলেই না আজ মাসাবাকে তিনি পেয়েছেন। আর ভালোবাসা কখনওই রাতারাতি ঘৃণায় পরিণত হয় না। প্রসঙ্গত,'সিঙ্গল মাদার' হিসেবে ছোট থেকে মাসাবাকে একা হাতে বড় করে তুললেও সময়, সুযোগ পেলেই মেয়ে মাসাবার কাছে এসে বহু সময় কাটিয়েছেন তাঁর বাবা।