এমনিতেই ফ্যাশন জগতের চেনা নাম ছিলেন মাসাবা গুপ্তা। আর এখন তো আত্মপ্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী হিসেবেও। নীনা-কন্যার ফ্যান ফলোয়ার্সের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর সেই মাসাবাই সামাজিক মাধ্যমে করলেন পোস্ট গায়িকা সুনিধি চৌহানকে নিয়ে।
মাসাবা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গিয়ে সুনিধির জিমের লুকের ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাকে কালো ড্রেসে দেখা যাচ্ছে। মাসাবা লিখেছেন, ‘সুনিধি চৌহানের রূপান্তরটি আমার মুডবোর্ড। আপনারও হওয়া উচিত। কারণ তিনি প্রতিভাবান (টিক মার্ক ইমোজি) ফিটনেসে নজর দেন (টিক মার্ক ইমোজি) কঠোর পরিশ্রম করেন (টিক মার্ক ইমোজি) কোন অপ্রয়োজনীয় টাইমপাস নেই (টিক মার্ক ইমোজি নেই) এমনকী পিআর (টিক মার্ক ইমোজি)-এরও দরকার নেই।’ তিনি একটি স্যালুট ইমোজি-সহ তাঁর পোস্টে সুনিধিকে ট্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: সৌরভ নাকি তাঁর বাবা! দাদাগিরিতে এসে ‘অবাক’ দাবি যুবতীর, বাক্যহারা মহারাজ
নীনা গুপ্তা এবং প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় ভিভিয়ান আলেকজান্ডার রিচার্ডস ভালোবাসতেন একে-অপরকে। ১৯৮৯ সালের ২ নভেম্বর নীনার কোলে আসে তাঁদের মেয়ে। যদিও ভিভিয়ান আর নীনার বিয়েটা কখনও হয়নি। মেয়েকে একাই বড় করেছেন। তবে সন্তানের কাছ থেকে এই সম্পর্ক, ও পিতৃ পরিচয়ও কখনও গোপন করে যাননি। নীনার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রয়েছে তাঁর বাবার।
২০০৮ সালে নীনা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিবেক মেহরাকে বিয়ে করেন। ভিভিয়ান ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে মাসাবার বিয়েতে যোগ দিতে ভারতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা! লাল লেহেঙ্গায় সাত পাক, দ্বিতীয়বার কে পাত্র পূজার?
২০১৮ সালে ছেলে তেঘের জন্ম দেন সুনিধি। আর তারপর স্বভাবতই বাড়ে ওজন। যা নিয়ে একসময় কম কটাক্ষের মুখে ড়তে হয়নি গায়িকাকে। অনলাইনেও নানা ধরনের ট্রোল চলত তাঁকে নিয়ে। তবে করোনা লকটাউন চলাকালীনই যাকে বলে নিজেকে বদলে নিয়েছেন পুরোপুরি।
আরও পড়ুন: ‘বুম্বাদা আমায় প্রস্তাব দিয়েছে…’, ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ জুটি নিয়ে ফের সরব শ্রীলেখা
‘মহামারী চলাকালীন, আমি পেশাদারভাবে নাচ শেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এটি আমার শোতে একটি দুর্দান্ত অ্যাড-অন হয়ে উঠেছে।আমি সবসময় একজন গায়ক এবং অভিনয়শিল্পী হতে চেয়েছিলাম। প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় কারণ লাইভ নাচের পাশাপাশি লাইভ গান গাওয়া সহজ নয়। আপনাকে শ্বাসের সঠিক নিয়ন্ত্রণ পেতে হবে। এছাড়াও, আমি হিল পরে দাঁড়াতে পারতাম না, কিন্তু এখন আমি সেগুলো পরে নাচ করি। আমি প্রতিদিন ব্যায়াম করি। সপ্তাহে ৩ দিন কার্ডিও করি এবং অন্য ৩ দিন চলে ওয়েট ট্রেনিং। খাবারের ক্ষেত্রে, আমি স্বাস্থ্যকর জিনিস খাই। সেভাবে ডায়েট করি না। আমার চিট ডে-ও আছে, মাঝেমাঝে তেঘের খাবারেও ভাগ বসাই।’