করোনা আবহে বাড়িতেই দুর্গাপুজো কাটাচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী। ঢাকের আওয়াজ, মন্ত্রপাঠ আর নিজের চারপেয়ে সন্তানদের সঙ্গ- এইভাবেই এইবারের দুর্গাপুজো সেলিব্রেট করছেন মিমি। দেখতে দেখতে হাজির নবমী, মায়ের বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে- তাই মন খারাপ নায়িকার। অষ্টমীর পর নবমীতে সবুজ রঙা পোশাকেই দেখা মিলল অভিনেত্রীর। অষ্টমীতে সেজেছিলেন সালোয়ার কামিজে তবে নবমীতে বেছে নিলেন শাড়ি। ম্যাক্সকে ভালোবাসার আগলে জড়িয়ে নিজের বাড়ির মা দুর্গার সামনে দেখা মিমিকে।
নিজের চারপেয়ে সন্তান, ম্যাক্সের সঙ্গে এই মিষ্টি পোস্ট করে ক্যাপশনে মিমি লেখেন- ‘আমাদের নবমী, সুস্থ থাকুন… মহা নবমীর অনেক শুভেচ্ছা’।
এদিন অনুরাগীদের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে আড্ডা দিলেন মিমি। মূলত ড্রাকুলা স্যার ছবি নিয়েই আলাপচারিতায় মাতলেন পর্দার মঞ্জরী। এদিন মিমি বলেন- ‘এই ছবিটার সেরা একটা অংশ বেছে নেওয়া খুব কঠিন। গোটা ছবিটাই আমার খুব ফেবারিট। এই ছবিটার অভিজ্ঞতা, লুক, এই ছবিটার গঠন, এই ছবিটা যেভাবে তৈরি হয়েছে- পুরোটাই খুব পছন্দের’।
মঞ্জরী চরিত্রের জন্য কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন মিমি? নায়িকা বলেন- ‘প্রত্যেক অভিনেতার নির্দিষ্ট কিছু প্রসেস থাকে একটা চরিত্রের জন্য তৈরি হওয়ার। তবে ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ, ডিরেক্টরের যে ভিসন থাকে আমরা সেটা হয়ে উঠি, সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। এটা একটা লম্বা প্রসেস- আমিও সেটাই করেছি। আমি সারাদিন খুব সিরিয়াস থাকতে পারি না- একটা সিরিয়াস চরিত্র করছি বলে। সুইচ অফ-সুইচ অন চলে’।
নিজে কি প্যারানর্ম্যাল বা ভূতে বিশ্বাসী মিমি? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে মিমি সচেতনতা বাণী হিসাবে বলেন তিনি কোনওভাবেই কুসংস্কারের প্রচার করতে চান না- তবে হ্যাঁ,ভূতে ভয় পান তিনি। এবং এই ভয়ের জন্য নাকি মা ও দিদির কাছে বেশ কয়েকবার হাসির খোরাক হতে হয়েছে তাঁকে। মিমি পরিষ্কার জানালেন- ‘আরশোলা এবং ভূতে আমি সত্যি ভয় পাই’।
এই পুজোয় জোড়া ছবি রিলিজ হয়েছে মিমির- ড্রাকুলা স্যার এবং SOS কলকাতা।