বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Mir Afsar Ali on his new venture: ‘সংসার কী করে চলবে?’ চাকরি ছাড়ার পর মায়ের বাউন্সার কীভাবে সামলেছিলেন মীর

Mir Afsar Ali on his new venture: ‘সংসার কী করে চলবে?’ চাকরি ছাড়ার পর মায়ের বাউন্সার কীভাবে সামলেছিলেন মীর

চাকরি ছাড়ার পর ‘সকালম্যান’ মীরের লক্ষ্য কী?

Mir Afsar Ali on his new venture: রেডিও ছেড়েছেন প্রায় মাস ছয়েক হয়ে গেল। এখন এক প্রকার বেকার মীর আফসার আলি। নিজে আগামী কাজ থেকে পরিবারের প্রতিক্রিয়া সবটাই জানালেন মীরাক্কেল-খ্যাত সঞ্চালক তথা রেডিও মির্চির সকালম্যান।

গত ২৮ বছর ধরে বাংলার অন্যতম সেরা রেডিও চ্যানেলের 'সকালম্যান' হিসেবে আমরা তাঁর কণ্ঠ শুনে এসেছি। সেই মীর অবশেষে রেডিও থেকে ছুটি নিয়েছেন। ঘুম থেকেই উঠেই যাঁর গমেগমে কণ্ঠস্বরে দিন শুরু হতো তিনি সেই কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু তারপর নিশ্চয় তাঁর কাজ পেতে কোনও অসুবিধা হয়নি? একাধিক জায়গা থেকে নিশ্চয় তাঁর জন্য কাজের অফার এসেছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে মীর আফসার আলি এই সময়কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, একটি মাত্র রেডিও স্টেশন থেকে তাঁকে অফার করা হয়, তাও মর্নিং শোয়ের জন্য। তাঁর কথায়, 'গত ২৮ বছর ধরে যে কাজ করে আসছি, যেটা করে ক্লান্ত হয়ে চাকরি ছাড়লাম আবার সেই কাজ কেন করতে যাব? তাই প্রথমদিন প্রথম আলাপেই নাকচ করে দিই।'

তিনি নাহয় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন কিন্তু তাঁর বাবা মা? তাঁদের কী প্রতিক্রিয়া ছিল ছেলের এই সিদ্ধান্ত শুনে? উত্তরে মীরাক্কেল-খ্যাত সঞ্চালক বলেন, '৩০ জুন আমার শেষ কাজের দিন ছিল। ১ জুলাই মাকে বললাম যে লাঞ্চ করতে যাব। গিয়ে সবে এক গ্রাস ভাত মুখে তুলেছি, তখন মা বলেন এবার থেকে কী খাবি? গাল ভর্তি খাবার নিয়ে বললাম যে খাবার থালায় সার্ভ করা হয়েছে সেটাই খাব। ভবিষ্যতেও সেটাই খাব। মা তখন বলেন না না চাকরি ছেড়ে দিলি এবার? তখন বুঝলাম যতই বড় হয়ে যাই না কেন বাবা মায়েদের ইন্সিকিওরিটি যাওয়ার নয়।'

কিন্তু আচমকা একটা সিকিওর্ড জব, মাস গেলে ভালো মাইনের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন তিনি? কবেই বা নিলেন? এই বিষয়ে তিনি জানান যে যবে তাঁর চাকরির ২৫ বছর পূর্ণ হয় তখন থেকেই তিনি চাকরি ছাড়ার পরিকল্পনা শুরু করেন। তাঁর কথায়, 'একই জিনিস করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। আর সেখান থেকেই নতুন কিছু করার সিদ্ধান্ত নিই।' তবে কি বর্তমানে মীর বেকার? এই বিষয়ে তিনি জানান, তিনি ২০১৭ সাল থেকে ফুডকা শুরু করেন। ভেবেছিলেন চাকরির বয়স ৩০ পূর্ণ হলে তিনি চাকরি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু সেটা হওয়ার আগেই ২৮ বছরেই স্বেচ্ছায় আউট হলাম। আর তিনি বর্তমানে এই স্বেচ্ছা বেকারত্ব উপভোগ করছেন বলেও জানাতে ভোলেন না।

তবে তিনি এখন সেই অর্থে বেকার নন। তিনি নিজের একটি ভেনচার শুরু করেছেন। ‘গপ্পো মীরের ঠেক’। সেই ৯৪ সাল থেকে তিনি এই কাজ করে আসছেন। তাই যখন তিনি নিজের মতো করে নিজের কিছু করার চেষ্টা করলেন তখন এটাই তাঁর মাথায় প্রথম আসে। তিনি জানান, 'ঠিক করি শ্রোতাদের গুছিয়ে গল্প শোনাব।'

তবে তিনি যে পেশাকে নিজে বেছে নিলেন, অর্থাৎ সেই পডকাস্টের ভবিষৎ কী? এই বিষয়ে মীর জানান যে এটির ভবিষৎ বিশাল। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, এটি একটি অভ্যাস গড়ে তোলার সুযোগ। শ্রোতাদের অভ্যাস করতে হবে। তবে মীরের কথায়, 'আমাদের শ্রোতাদের কান এখনও সেভাবে তৈরি হয়নি। তবে যত ভালো কাজ হবে শ্রোতারা তত বেশি আকৃষ্ট হবেন। এটা ইন্টারনেটের যুগ। কনটেন্ট পছন্দ না হলে শ্রোতারা শুনবেন তো নাই উল্টে অনফলো করে বেরিয়ে যাবে।'

আর মীরাক্কেল? এই বিষয়ে তিনি ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন। জানালেন এখন জোকস বলতে গেলে অনেক কিছু মেনে ভেবে বলতে হয়। তাই আপাতত মীরাক্কেল আর না হলেও ভবিষ্যতে হতে পারে। তবে আপাতত তাঁর ধ্যান জ্ঞান সবটাই গপ্পো মীরের ঠেক।

বন্ধ করুন