বাংলা টেলিভিশনের অতি পরিচিত নাম আরাত্রিকা মাইতি। আরাত্রিকার চেয়ে ‘মিতুল মা’ হিসাবেই তাঁর জনপ্রিয়তা। ‘খেলনা বাড়ি’ শেষ হতে না হতেই জি বাংলার ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে আরাত্রিকাকে। আরও পড়ুন-রাইয়ের বোনের সাথে বিয়ে হল শৌর্যর! আরাত্রিকা পারবেন নিজের ভালোবাসার বলিদান দিতে?
গল্প বলছে, বাড়ির দায়িত্বশীল বড় মেয়ের চরিত্রে রয়েছেন আরাত্রিকা। তাঁর চরিত্রের নাম রাইপূর্ণা ওরফে রাই। সদ্যই মেজো বোন নীলুর (নীলাঞ্জনা) সঙ্গে নিজের ভালোবাসার মানুষের বিয়ে দিয়েছে রাই। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে এমন সিদ্ধান্ত রাইয়ের।
গল্পে বড়দিদি আরাত্রিকা, কিন্তু বাস্তব ছবিটা একদম উলটো। বয়সে আরাত্রিকার চেয়ে বড় দেবাদৃতা, পর্দায় ছোট বোন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতেও আরাত্রিকার চেয়ে বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন মিঠিঝোরার নীলাঞ্জনা। তাই অফ ক্যামেরা দেবাদৃতাকে দিদি বলেই ডাকেন আরাত্রিকা। দুজনের এই অফস্ক্রিন বন্ডিং ধরা পড়ল দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে।
রচনার শো-তে ‘দেবাদৃতাদি’-কে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আরাত্রিকা বলেন, ‘চরিত্র থেকে অন আর অফ কীভাবে হতে হয় সেটা দেবাদৃতাদির থেকে শেখা উচিত। আমি সেটা পারি না, আমি অনই থেকে যাই’।
সদ্য ১৯-এ পা দিয়েছেন আরাত্রিকা। আগের মেগায় আরাত্রিকার পর্দার ছেলে-মেয়ের তাঁর থেকে বয়সে বড় ছিল। এখানে বোন বয়সে তাঁর চেয়ে বড়! দেবাদৃতার বয়স এখন কমবেশি ২৩ বছর। তাই আরাত্রিকার চেয়ে বয়সে প্রায় চার বছরের বড় তিনি।
এদিন ছোট বোন স্রোত অর্থাৎ স্বপ্নীলার লেগ পুল করতে ছাড়লেন না আরাত্রিকা। তাঁক বলতে শোনা গেল, ‘ও সব সময় বলে আমি একমাত্র ফ্রি, আমি সিঙ্গল, তবে রাতে সবসময় ওর ফোন ব্যস্ত।’ দিদির অভিযোগ শুনে হেসে খুন স্বপ্নীলা। অন্যদিকে বৌমণি পূজাকে ‘লক্ষ্মীমন্ত’ বলে বর্ণণা করলেন আরাত্রিকা। শটের নাকি বেজায় ঘাবড়ে থাকেন পূজা। আরাত্রিকা বলেন, ‘শটের আগে ও প্রচণ্ড নার্ভাস থাকে, রীতিমতো কাঁপে’।
ওদিকে দিদির মঞ্চে নিজের বিয়ে নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল দেবাদৃতাকে। শৌর্যর সঙ্গে সদ্য বিয়ে সেরেছে নীলু। কিন্তু রাহুলের গলায় কবে মালা দেবেন অভিনেত্রী? ‘এখনও ভাবিনি। কাজের জন্য নয়, আরেকটু সময় নিচ্ছি। সেটেল হয়েও আমি কাজ করতে পারব। আসলে সেটল হয়ে আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছ', জানালেন দেবাদৃতা। এরপর রচনা যোগ করেন, ‘তাছাড়া সিরিয়ালে এতবার হয়ে গেছে’ ।
দিদির কথায় হাসি চেপে রাখেননি দেবাদৃতা। তিনি বলেন, ‘সত্যি, আমার ৬ বার হয়েছে (বিয়ে)। আলাদা করে আর সত্যি…. আমি তো দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়ে দিতে পারব। এরপর এটা মিস হচ্ছে এটা করো, সিরিয়াসলি!’