Sohini-Sushmita: ‘উড়ন তুবড়ি’র নামে বর হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মডেলের,দিলেন আত্মহত্যার হুমকি!

‘উড়ন তুবড়ি’র সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত বর, অভিযোগ মডেলের! সপাট জবাব সোহিনীর।

টেলিপাড়ায় নতুন বিতর্ক! এবার বর হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অভিনেত্রী সোহিনী বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে 'উড়ন তুবড়ি'র বিরুদ্ধে। সোহিনীর বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন মডেল সুস্মিতা পাল। ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টে সুস্মিতার অভিযোগ তাঁর স্বামী সন্দীপন পারিয়ালের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে অভিনেত্রীর। আর স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ডিপ্রেশনে ভুগছেন সুস্মিতা, এমনটাই লেখেন তিনি। সুস্মিতার স্বামী সন্দীপন পারিয়াল পেশায় ড্রামার। অনুপম রায়ের ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত তিনি।

সুস্মিতার কথায়, ‘আমার স্বামী সন্দীপন পারিয়ালের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বিখ্যাত 'উড়ন তুবড়ি' সোহিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ও (সোহিনী) দাবি করে ওর বয়ফ্রেন্ড রয়েছে। তাহলে আমার স্বামীর সঙ্গে ওর সম্পর্ক কী রকম? বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে না ঘুরে আমার স্বামীর সঙ্গে ডিনারে যাচ্ছে, সিনেমা দেখতে যাচ্ছে, ঘুরছে। ওরা আমাকে বাধ্য করছে আত্মহত্যা করতে। হ্যাঁ, আমার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে! এটা বলতে আমি লজ্জিত নই।'

সুস্মিতা আরও দাবি করেন, সবটা জেনে শুনে একটা মেয়ে হয়ে সোহিনী এণনটা করছে। শেষে তাঁর কাতর আর্জি, ‘আমি বাঁচতে চাই। আমার মানসিক পরিস্থিতির ঠিক নেই। আমি যে কোনও মুহূর্তে কিছু করে ফেলতে পারি’।

সুস্মিতার পোস্ট

এই ব্যাপারে এক সংবাদমাধ্যমকে সোহিনী জানান, ‘এই ব্যাপার নিয়ে আমার কিছু বলবার নেই। তবে আমি এটা নিয়ে অবাক নই। আমি কোনও কিছু এক্সপ্লেন করতে চাই না। বন্ধুত্বকে কোনওদিন ব্যাখা করা যায় না। আমি, আমার বয়ফ্রেন্ড আর সন্দীপন হামেশা একসঙ্গে হ্যাং আউট করি। আমার সঙ্গে অন্য কিছু করবার হয়, তাহলে আমি সন্দীপনের সঙ্গে একা ঘুরতে যেতাম।’

সোহিনীর প্রেম সম্পর্কের কথা কারুর অজানা নয়। নিজের প্রেমিকের কথা কোনওদিন গোপন করেননি অভিনেত্রী। জয়সূর্য গুপ্তের সঙ্গী দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্ক তাঁর। 

টেলিপাড়া সূত্রে খবর, প্রায় এক বছর ধরে আলাদা থাকেন সন্দীপন ও সুস্মিতা। সোহিনী ও তাঁর প্রেমিকের খুব কাছের বন্ধু সন্দীপন। সুস্মিতাকে পালটা আক্রমণ করে সোহিনী বলেন, ‘মানুষের নজর যেমন কোনও সম্পর্ককে সে তেমনভাবেই দেখে। আমার কাজের জায়গা হোক বা বাড়ির লোক- সবাই জানে কে জয়, কে সন্দীপন? আমার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক কী। এর চেয়ে বেশি আমি কিছু বলতে চাই না’।