মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টকে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে জানানো হয়েছে তারা নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর প্রাক্তন মুম্বই জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ চাওয়ার কেসটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত করেছে। একাধিক প্রাতিষ্ঠানিক কারণেই তারা এই কাজটি করেছে বলেও জানানো হয়েছে কোর্টকে।
ইডির তরফে এই কেসটি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রেজিষ্টার করা হয়েছিল। সেই বছরই মে মাসের ১১ তারিখ এই একি বিষয়ে সিবিআই একটি FIR করে। সেটার ভিত্তিতে ইডি কেসটির তদন্ত শুরু করে। এই FIR -এ বলা হয় সমীর ওয়াংখেড়ে এবং অন্যান্য কিছু জন মিলে শাহরুখ খানের থেকে ২৫ কোটি টাকা আদায় করতে চায় এই বলে যে এই টাকাটা দিলে নাকি তাঁরা একটি মাদক মামলা থেকে আরিয়ান খানকে অব্যাহতি দেবেন।
আরও পড়ুন: আজকালকার ভালোবাসার ধরন দেবলীনার অপছন্দের? বললেন, 'সবটাই শরীর সর্বস্ব, রোম্যান্সের সারল্য...'
প্রসঙ্গত গত ৬ ফেব্রুয়ারি বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সমীর। থেকে কোর্টের কাছে আবেদন করেন কোর্ট যেন ইডিকে সৌজন্যবোধ বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে তাঁর এক কেসটিকে দিল্লিতে ট্রান্সফার করার হাত থেকে আটকায়। মঙ্গলবার শুনানির সময় পাবলিক প্রসিকিউটর অর্থাৎ যিনি ইডির হয়ে কেসটি লড়ছেন তিনি বম্বে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যেই এই কেসটিকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়ে গিয়েছে কারণ অপরাধটা সেখানেই ঘটেছিল। দিল্লিতে এনসিবির তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
যদিও সমীর ওয়াংখেড়ের আইনজীবী জানান এটা ভুল। গোটা কেসটাই মুম্বইয়ে ঘটেছে এবং শুরু হয়েছে। ইডির মুম্বই শাখার উচিত এই কেসের তদন্ত করা। আপাতত আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বম্বে হাইকোর্টের তরফে এই কেসের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সেখানেই তাঁরা গোটা বিষয়টা শুনবেন।
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে সৃজিতের উপহার ভালোবাসার গান, মোনালির কণ্ঠে 'সাইয়া বেইমান' যেন মন খারাপির সুর
প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ২ অক্টোবর আরিয়ান খানকে একটি মাদক মামলায় একটি জাহাজ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর, তার ঠিক পরের বছর ১৪ জন অভিযুক্তের নামে চার্জশিট আনা হয়, কেবল আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। বর্তমানে এই কেসের তদন্ত করছে ইডি।