মৃণাল সেনের জন্মশতবর্ষে সৃজিত মুখোপাধ্যায় উপহার পদাতিক। আপাতত এই ছবিখানা নিয়ে উৎসাহ চরমে বাঙালির। ইতিমধ্যেই ছবিখানা একাধিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত এবং মনোনীত হয়েছে। এখন অপেক্ষা মুক্তির। কবে আসবে পদাতিক প্রেক্ষাগৃহে?
টলিবাংলা বক্স অফিসের রিপোর্ট অনুসারে, এই গরমেই সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। খুব সম্ভবত, মে মাসে রিলিজ। তবে পদাতিকের সবচেয়ে বড় কম্পটিশন হতে চলেছে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার আমার বস ছবিটি। সাধারণত, গরমের ছুটির সময়ে সিনেমা আসে এই জুটির। তাহলে পরপর, অথবা একই মাসে হয়তো মুক্তি পাবে পদাতিক আর আমার বস।
এর আগেও বক্স অফিসে ক্ল্যাশ করেছে বাংলা ছবি। অনেকেরই দাবি, এতে বেশ বড় ক্ষতি হয় ছবির সংগ্রহে। টলিউডের অনেক তারকাই এর আগে একই দিনে দুটি ছবি মুক্তি না দেওয়ার কথা বলেছেন। তবে প্রযোজকদের মধ্যে থাকা রেশারেশিই, কখনও কাল হয় এক্ষেত্রে।
পদাতিকে মৃণাল সেনের চরিত্রে রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। এছাড়াও আছেন মনামী ঘোষ, তাঁকে মৃণাল সেনের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে। সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে দেখা যাবে, জিতু কমলকে। রয়েছেন সম্রাট চক্রবর্তী। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত এই ছবির মিউজিকের দায়িত্বে। মেকআপের দায়িত্ব সামলেছেন সোমনাথ কুণ্ডু।
এর আগে এক সাক্ষাৎাকের সৃজিতকে বলতে শোনা গিয়েছিল মৃণাল-বায়োপিকটি তাঁর আনার ইচ্ছে ছিল সিরিজ হিসেবেই। তাতে এই খ্যাতনামা কিংবদন্তি পরিচালকের জীবনের আরও বেশি ঘটনা তুলে ধরা যেত দর্শকের সামনে। সৃজিত বলেছিলেন, ‘প্রশ্ন উঠবে বায়োপিকে আমি যাকিছু রেখেছি, তাতে আমি কি সন্তুষ্ট? তাহলে বলি, একটি ফিচার ফিল্মে মৃণাল দা-এর মতো গভীর ব্যক্তিত্বকে নিয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় এটা যদি সিনেমা না হয়ে ওয়েব সিরিজ হিসাবে তৈরি করা যেত, তাহলে এটার সঙ্গে অনেক বেশি ন্যায়বিচার করা যেত।’
অন্য দিকে, পদাতিকের পাশাপাশি আমার বস নিয়েও কিন্তু দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে। কারণ এই ছবি দিয়ে বাংলা সিনেমায় ফিরছেন রাখি গুলজার। ছবিতে আরও আছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, শ্রুতি দাস, সৌরসেনী মিত্র, গৌরব চট্টোপাধ্যায় এবং ঐশ্বর্য সেনরা। ছবিতে নিজেও থাকছেন পরিচালক শিবপ্রসাদ। এর আগেও একদম পৃথক ধরনের গল্প শুনিয়ে দর্শক মনে জায়গা করেছে শিবপ্রসাদ আর নন্দিতা। তাই তাঁদের সিনেমাতেও কিছু কম ভিড় হবে না। যার প্রমাণ এর আগে মিলেছে হামি, বেলা শেষে, প্রাক্তন-এর মতো সিনেমাতে।