মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির ইক্যুয়েশন বরাবরই মন কাড়ে সকলের। যেভাবে তাঁরা একে-অপরকে সম্মান দিয়ে কথা বলেন, তা এক কথায় অনবদ্য। বিশেষ করে অনন্ত আম্বানি আর রাধিকা মার্চেন্টের প্রি ওয়েডিংয়ে তাঁদের একসঙ্গে করা স্টেজ পারফরমেন্স তো এখনও টক অফ দ্য টাউন! এরই মাঝে ভাইরাল হল তাঁদের পুরনো ভিডিয়ো। ক্লিপটি তাঁদের অনেকদিন আগের সাক্ষাৎকারের একটি অংশ, যেখানে বিজনেস টাইকুন ভাগ করে নিয়েছিলেন যে কীভাবে তিনি তার স্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
ভিডিয়োটি সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে দম্পতিকে দেখা গিয়েছে। মুকেশ আম্বানিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তাঁর আর নীতার সম্পর্কের শুরু নিয়ে। ব্যবসায়ী ব্যাখ্যা করেন যে, তাঁরা ড্রাইভ করছিলেন, যখন হঠাৎ করেই তিনি নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন! এবং ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ উত্তর দিতে বলেন। তাতে নীতা আম্বানি যোগ করেছেন যে, সেই সময় তাঁরা ট্র্যাফিকের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন এবং চারদিকে লোকেরা চিৎকার করছিল ও হর্ন বাজাচ্ছিল।
সিমি জিজ্ঞাসা করেছেন নীতা যদি ‘না’ বলতেন তবে তিনি কী করতেন? এতে বিজনেস টাইকুন উত্তর দেন, তিনি তাঁকে (নীতা আম্বানিকে) বাড়িতে নামিয়ে দিতেন এবং তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতেন।
দেখুন মুকেশ ও নীতা আম্বানির সেই ভিডিয়ো-
জানুয়ারিতে শেয়ার হওয়ার পর থেকে ভিডিয়োটি ২০ লক্ষেরও বেশি ভিউ সহ ভাইরাল হয়েছে। শেয়ারটিতে বেশ কিছু লাইক ও কমেন্টও জমা হয়েছে।
আকাশ, আনন্দ এবং ইশা, ৩ সন্তানের মা-বাবা নীতা ও মুকেশ। দুজনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামলান আম্বানিদের এত বড় ব্যবসা। জানা যায়, নীতাকে প্রথম পছন্দ করেছিলেন ধীরুভাই আম্বানি। একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি প্রথম দেখেন ‘হবু বউমা’কে। তিনিই উদ্যোগ নিয়ে ফোন করেছিলেন নীতার কাছে। ডেকে পাঠিয়েছিলেন। নীতা প্রথমে ভাবতেও পারেননি, সত্যিই ধীরুভাইয়ের মতো এত বড় মানুষ তাঁকে ফোন করছেন।
এরপর ধীরুভাই-ই পরিচয় করিয়ে দেন মুকেশ ও নীতার। ধীরে ধীরে তাঁদের আলাপ বাড়ে। মুকেশ আম্বানিও বুঝে নিয়েছিলেন, এর থেকে ভালো জীবনসঙ্গী আর পেতেই পারেন না। নীতা যদিও সিদ্ধান্ত নিতে একটু ইতস্তত করেছিলেন। ‘হ্যাঁ’ বলার আগে, শর্ত রেখেছিলেন, তাঁকে বিয়ের পরও কাজ করতে দিতে হবে। যদিও এই ব্যাপারে, কোনওদিনই ‘না’ বলেননি আম্বানিরা।