‘মুকুট’ সিরিয়াল নিয়ে বর্তমানে টলিপাড়ায় চলছে জোর দ্বন্দ্ব। সপ্তাহখানেক আগ এই ধারাবাহিক ছেড়েছিলেন শ্রীপর্ণা রায়। আর শ্রীপর্ণার পর তাতে সামিল হল আরেও একটা নাম- যুধাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মুকুট ছাড়ার পর বিস্ফোরক দাবিও করে বসেন অভিনেতা। তাঁর দাবি, মানসম্মান জলাঞ্জলি দিয়ে সেখানে কাজ করছেন সবাই।
তবে যুধাজিতের সেই কথা ভালো মনে নেননি ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। নাম না করে যুধাজিতের বিপক্ষেই কথা বলেছেন তিনি। ফেসবুকে ত্বরিতা শুক্রবার লেখেন, ‘আমি ব্লু'জকে এবং দাদা (স্নেহাশিস চক্রবর্তী)-কে চিনি প্রায় ১৩ বছর আর কাজ করছি ৮ বছর। খুব গর্বিত যে এত পুরনো একটি হাউজ এবং কর্ণধার একজন বাঙালি। আমি এটুকু বলব একটি হাউজ এত বছর ধরে এতগুলো ধারাবাহিক করেছে এবং ক্যামেরার সামনে এবং পিছনে তিনি এতগুলো মানুষকে যুক্ত করেছেন এবং এখনও এত মানুষ যুক্ত, তাঁদের প্রতিনিয়ত কাজের চিন্তা এই হাউজ এবং এই মানুষটি করেন। আপনাকে কে বলল যাঁরা এই হাউজে কাজ করেন তাঁরা জি হুজুরি করেন!’
কী বলেছেন যুধাজিৎ মুকুট ছাড়ার পর?
‘মুকুট’- এ নায়কের দাদার চরিত্রে কাজ করছিলেন যুধাজিৎ। অনেকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল না রমণীমোহন হালদারকে ধারাবাহিকে। তারপর হঠাৎই আসে যুধাজিতের সেই বিস্ফোরক পোস্ট। একসঙ্গে ব্লুজের দুটো মেগায় কাজ করছিলেন তিনি। ‘মুকুট’ আর ‘নায়িকা নম্বর ১’। যুধাজিৎ ফেসবুকে স্নেহাশিসের দিকে পরোক্ষ আঙুল তুলে লেখেন, ‘শিল্পীর মানহানি করে শিল্পকে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয়টা আর সহ্য হলো না। ভালোবেসে কাজটাই শুধু করতে পারি আর সেটুকুই করি। বিদায় অহংকার।’
শুধু তাই নয় টলি ফ্যাক্টসকে যুধাজিৎ জানান, তাঁকে স্পষ্টভাবে কারণ না দেখিয়ে আচমকা বসিয়ে দেওয়া হয়। দুই সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের জন্য ডেট দেওয়া হচ্ছিল না। বারবার প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁর কথায়, ‘অপমানিত হওয়ার আগে আমি ছেড়ে দিলাম। চোখের সামনে দেখেছি অনেক সিনিয়র অভিনেতা কাজ চলে যাওয়ার ভয়ে কিছু বলে না, অপমান গিলে নেয়’।
মুকুটের নায়িকা শ্রাবণী ভুঁইয়া-র বক্তব্য?
অবশ্য শুধু ত্বরিতা একা নন, যুধাজিতের বিপক্ষে কথা বলেছেন মুকুট-এর নায়িকা শ্রাবণী ভুঁইয়া। তিনিও ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। যাতে যুধাজিতের নাম না করেই লেখেন, ‘আমি বর্তমানে ব্লুজ-এর মুকুট সিরিয়ালে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছি। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে আমি সসম্মানে কাজ করছি এবং আমি অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে ধন্য মনে করি ব্লুজ সংস্থা থেকে নিজের যাত্রা শুরু করে… ব্লুজ-এ প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রী সম্মানের সঙ্গে বিনা ভয়ে কাজ করে। শুধু শিল্পী নয়, প্রত্যেক টেকনিশিয়ানকেও আলাদা সম্মান দেওয়া হয়। সবাই খুব নিষ্ঠা মেনেই কাজ করে। মাসের শুরুতে তাঁদের সকলকে পারিশ্রমিকও দিয়ে দেওয়া হয়। ভীষণ ঘরোয়া পরিবেশে কাজ হয়। এমনকী আমরা দেখেছি কেউ কারও সমস্যার কথা বলে যদি কাজ চান, উনি দেন। ট্র্যাকের প্রয়োজনে যদি সেই সিরিয়ালে ডেট না পড়ে, উনি অন্য কোথাও ব্যবস্থা করে দেন। যে বা যারা এই মন্দিরের মতো সংস্থা নিয়ে মিথ্যে কথা রটাচ্ছে তাদেরই নোংরা মানসিকতা প্রকাশ পাচ্ছে। আপনারা এই মিথ্যে রটনা বন্ধ করুন। কারও ভালো না করতে পারলে, অন্তত খারাপ করবেন না।’