চলতি বছর ডিসেম্বরে ১৯-এ পা দেবে শ্রীলেখা কন্যা ঐশী। অভিনেত্রী অবশ্য তাঁকে মাইয়্যা বলেই ডাকেন। জেন জি-র এই কন্যে আর পাঁচজন স্টার কিডের থেকে একদম আলাদা, পুরোপুরি প্রচারবিমুখ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও অ্যাকাউন্ট নেই ঐশীর। ইনস্টাগ্রাম রিল নয়, বরং বইয়ে মুখ গুঁজে থাকতেই ভালোবাসেন তিনি। আরও পড়ুন-‘আমায় ওটস দিয়ে গুলে খেয়ে নেবে…’, মেয়ের ISC-র নম্বর জানাতে ভয় শ্রীলেখার, কত পেল মাইয়্যা?
সোমবার প্রকাশিত হচ্ছে আইএসসি (দ্বাদশ)পরীক্ষার ফলাফল। শ্রীলেখার ‘বইপোকা’ কন্যে দুর্দান্ত রেজাল্ট করেছেন। মেয়ের রেজাল্ট জানানোর ইচ্ছে থাকলেও ফেসবুকে তা সামনে আনেননি শ্রীলেখা, কারণ প্রচারবিমুখ মেয়ে আগেভাগই শাসিয়ে রেখেছিল মা-কে। আইসিএসই (দশম) এর থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে মেয়ে, এইটুকু বলেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন শ্রীলেখা। যদিও ঐশী কত শতাংশ নম্বর পেয়েছে তা গোপন রইল না।
মডার্ন হাই স্কুলের ছাত্রী ঐশী। শ্রীলেখা কন্যা তিনটি বিষয়ে ৯৮-এর উপর নম্বর। পাশাপাশি বাংলায়ও ৯৮ নম্বর পেয়ে ISC- পরীক্ষায় ৯৮% নম্বর নিয়ে পাশ করেছেন। মেয়ের সাফল্যে গর্বে বুক ফুলেছে শ্রীলেখার। খুব অল্প বয়সে বাবা-মা'র বিচ্ছেদের সাক্ষী থেকেছে ঐশী। ২০১৩ সালে যখন স্বামী শিলাদিত্য সান্যালের থেকে আলাদা হন শ্রীলেখা তখন তাঁর মেয়ের বয়স সবে ৮ বছর। শৈশবে বাবা-মা'র ডিভোর্স চাক্ষুস করলেও সবকিছুই সহজভাগে গ্রহণ করেছেন মাইয়্যা।
একা নয়, শ্রীলেখা-শিলাদিত্য মেয়ের কো-পেরেন্ট। নিজের ইচ্ছামতো দুইজনের সঙ্গেই থাকেন ঐশী। ক্লাস টুয়েলভের গণ্ডি পেরিয়ে এবার কলেজে যাওয়ার পালা। ভবিষ্যতে কী নিয়ে পড়াশোনা করবেন ঐশী? আনন্দবাজারকে শ্রীলেখা জানিয়েছেন, আর কলকাতায় থেকে পড়াশোনা করবেন না ঐশী। বরং উচ্চশিক্ষার জন্য যাবে বেঙ্গালুরু। সেখানে মনোবিজ্ঞান (সাইকোলজি) কিংবা থিয়েটার নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।
শিলাদিত্যর সঙ্গে বন্ধুত্ব এখনও টিকে রয়েছে শ্রীলেখা। ডিভোর্স প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিবেদিতা অনলাইনকে শ্রীলেখা বলেছিলেন, ‘আমার মেয়ে বেস্টটা পেয়েছে। মায়ের বেস্ট, বাবার বেস্ট। একসঙ্গে বাইরে ঘুরতে না গেলেও আমরা খেতে-টেতে যাই তিনজনে একসঙ্গে….'।
জাগতিক বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ নেই শ্রীলখা কন্যার। বরং বই নিয়েই খুশি সে। অত্যাধুনিক গ্যাজেট টানে না তাঁকে। মেয়ের রেজাল্ট নিয়ে সোমবার শ্রীলেখা ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘মেয়ের আইএসসি-র রেজাল্ট এসেছে আজকে। দুর্ধর্ষ ফলাফল হয়েছে। আইসিএসসি-তে যা পেয়েছিল তার চেয়েও বেশি। কিন্তু খুব অশান্তি করবে আমার সাথে পারসেন্টেজ শেয়ার করলে। ‘তুমি যাই লেখো নিউজ হয়, আমি চাই না আমার রেজাল্ট নিয়ে নিউজ হোক’। অতএব আমি অপরাগ। শুধু এটুকু বলতে পারি, ওর বাপ-মা মিলিয়েও জীবনে এত নম্বর পায়নি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দয়া করে ওকে কেউ বোলো না আমি এটা পোস্ট করেছি। খুব ঝগড়া করবে আমার সঙ্গে। আর লক্ষ্মীটি কেউ এটা নিয়ে নিউজ কোরো না। আমায় ওটস দিয়ে গুলে খেয়ে নেবে।’ মাকে রীতিমতো আগলে রাখে ঐশী। শ্রীলেখাকে প্রয়োজনে শাসনও করে।