এদিন সুপ্রিম কোর্টে টেকেনি মহারাষ্ট্র সরকারের দলিল। রিয়া চক্রবর্তীর পিটিশনের পাশাপাশি উদ্ধব সরকারের ক্যাভিয়েটও এদিন ধোপে টেকেনি শীর্ষ আদালতে।সুশান্তের মৃত্যুর মামলার সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। তাঁদের দাবি ছিল মুম্বই পুলিশ এই মামলার তদন্ত করতে সক্ষম এবং রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিহার নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নীতিশ কুমার সরকার এই মামলায় সিবিআই সুপারিশ করেছে। বিহার পুলিশের এই মামলায় 'নাক গলানোর' এক্তিয়ার নেই কারণ ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে। যা তাঁদের জুরিসডিকশনের বাইরে।
এই সব দলিল নাকচ করে দিয়ে এদিন জাস্টিস রায় জানিয়ে দেন, বিহার পুলিশের এফআইআর বৈধ এবং বিহার সরকারের এই মামলায় সিবিআই সুপারিশ জানানোর আইনত অধিকার রয়েছে। এই মামলার তদন্তে সিবিআইকে সুবজ সংকেত দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মুম্বই পুলিশকে কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানান,'সুপ্রিম কোর্টের রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সিবিআইকে তদন্তে সবরকম সাহায্য করবে রাজ্য সরকার'। তিনি এদিন ফের বলেন বিহার নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই বিষয়টিতে রাজনীতির রঙ লাগাচ্ছে বিরোধী শিবির।
সিবিআইয়ের পাশাপাশি মুম্বই পুলিশও কি এই মামলার তদন্ত চালাবে? এই প্রশ্নের জবাবে অনিল দেশমুখ জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ৩৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবে রাজ্য সরকার।
কী রয়েছে এই রায়ের ৩৪ নম্বর অনুচ্ছেদে?
পাটনায় দায়ের করা এফআইআর বিধিসম্মতভাবে সিবিআইয়ের কাছে ট্রান্সফার করা হয়েছে,বিহার সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী, যেই সময় এই ট্রান্সফার পিটিশন (আদালতে) ঝুলে ছিল। যদি ভবিষ্যতে সিআরপিসি ১৭৫ (২) এর আওয়াত কোনও বিচার্য অপরাধ ধরা পড়ে, তাহলে মুম্বই পুলিশের দ্বারা কোনও সমান্তরাল তদন্তের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
অন্যদিকে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে আগামিকালই মুম্বই পৌঁছাচ্ছে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের তিন সদস্য। ইতিমধ্যেই এলার্ট পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের মুম্বই ব্রাঞ্চে। প্রয়োজনীয় ফোর্স দেওয়া হবে সিবিআইয়ের মুম্বই অফিস থেকেই। এই মামলার সব তথ্য, সাক্ষীকে নতুন করে যাচাই করবে সিবিআই।