সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৩ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে মুম্বই পুলিশ। তবে এই মামলায় কেন শমন পাঠানো হচ্ছে না কঙ্গনা রানাওয়াতকে সেই প্রশ্ন বারবার উঠে আসছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডের একাংশের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কঙ্গনা। রিপাবলিক টিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কঙ্গনা রানাওয়াতকে কোনও শমন পাঠানো হয়নি, একথা বৃহস্পতিবার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন কঙ্গনার দিদি তথা ম্যানেজার রঙ্গোলি চান্দেল। অবশেষে শুক্রবার মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হল এই মামলায় শমন পাঠানো হয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতকে।
তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের পাশাপাশি পেশাগত রেষারেষির বিষয়টি জোর দিয়ে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। কী কারণে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন সেই ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
'সুশান্ত সিং রাজপুতের ডিপ্রেশনের কারণ খুঁজতে আমরা কঙ্গনা রানাওয়াতের কাছ থেকে কিছু তথ্য পেতে চাই। সেই অনুযায়ী আমরা শমন পাঠিয়েছি। নিয়মানুসারে শুক্রবার পোস্টের মাধ্যমে মনালিতে ওঁনার বাড়িতে শমন পাঠানো হয়েছে',জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক। এই মুহূর্তে মানালিতে রয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াত।
সূত্রের খবর এর আগে ৩রা জুলাইও নাকি কঙ্গনাকে শমন পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল মুম্বই পুলিশের তরফে কিন্তু তিনি শহরে না থাকার কারণেই নাকি দেরিতে শমন পৌঁছানো হচ্ছে কঙ্গনাকে।
টিম কঙ্গনা রানাওয়াতের তরফে বৃহস্পতিবারই টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও শমন পাঠানো হয়নি কঙ্গনাকে। গত দু সপ্তাহে অভিনেত্রীর দিদি তথা ম্যানেজার রঙ্গোলি চান্দেলের কাছে বেশ কয়েকবার ফোন গিয়েছে ঠিকই এখনও শমন হাতে পাননি কঙ্গনা। যদিও এই মামলায় কঙ্গনা বয়ান রেকর্ড করতে চান বলে বারবার দাবি করা হচ্ছে,কিন্তু মুম্বই পুলিশের তরফে নাকি কোনও সাড়া মেলেনি। রঙ্গোলি চান্দেলের সঙ্গে মুম্বই পুলিশের কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও এদিন প্রকাশ্যে আনা হয়।
এই মামলায় ইতিমধ্যেই সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, দিল বেচারা কো-স্টার স়ঞ্জনা সাংঘি, পরিচালক মুকেশ ছাবরা, অভিনেতার বন্ধু, পরিবার এবং পরিচারকদের জেরা করেছে মুম্বই পুলিশ। বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলিউড পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি, যশ রাজ কর্ণধার আদিত্য চোপড়া, সাংবাদিক রাজীবন মসান্দ সহ প্রায় চল্লিশ জনের। সুশান্তের ডিপ্রেশনের কারণ জানতে অভিনেতার চার মনোবিদেরও বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। সকলেই অভিনেতার ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার কথা মানলেও,ডিপ্রেশনের কারণ বলতে ব্যর্থ হন।