নন্দিনীর ডালহৌসির দোকানের সামনে লেগেই থাকে ভিড়। যেমন খদ্দেরদের, তেমনই ইউটিউবারদের। আর তার ফলে স্মার্ট দিদির রোজনামচার নানা মুহূর্ত ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। তা সে খদ্দেরের সঙ্গে ঝামেলা লাগা হোক, বা মেজাজ হারিয়ে নিজের বাবা বা দোকানের কর্মচারীর উপর চিৎকার। নন্দিনীর উপর অভিযোগ, রেগে গিয়ে নাকি নিজের মুখের ভাষাও খারাপ করে ফেলেন তিনি মাঝেমধ্যে।
ইউটিউবে এমনই এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক পথচারীর উপর রেগে গিয়ে চিৎকার করছেন নন্দিনী। ফুটপাথে দোকান, এদিকে ফুটপাথ দিয়েই লোকের যাতায়াত। কোনও এক এরকমই কেউ, ফুটপাথ দিয়ে যেতে গিয়ে একাধিকবার ‘সাইড দাও’ বলে ফেলে। আর তাতেই রেগে কাঁই হন নন্দিনী।
চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘উঠে চলে যান (গায়ের দিকে ইঙ্গিত করে)। পাবলিক আমিও তো দাদা। নাকি আমাকে দেখে জানোয়ার মনে হয়। দেখছেন খোড়াচ্ছি। তাও সাইড দিন সাইড দিন।’ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নন্দিনীর বাবাও বেশ রেগে যান ওই পথচারীর উপরে। হাত নেড়ে কিছু বলতে থাকেন, যা স্পষ্ট নয় ভিডিয়োতে।
ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনে কিন্তু বেশিরভাগই গেলেন নন্দিনীর বিপক্ষে। একজন লিখলেন, ‘পাবলিক এর হেটে যাওয়ার রাস্তা ব্লক করে হোটেল, তার আবার এত মেজাজ।’ আরেকজন লেখেন, ‘সব ব্লগাররা একে মাথায় তুলেছে। ব্লগারদের কিছু কন্টেট নেই, চলো নন্দিনীর কাছে....’ তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘এই মেয়েটা নিজের বাবা কে সম্মান দেয় না। আর সাধারণ মানুষকে কি সম্মান দিয়ে কথা বলবে বলুন। ও একটা মধমেজাজি মেয়ে।’
যদিও এসব ট্রোল থাকা সত্ত্বেও নন্দিনীকে নিয়ে মাতামাতি কম নয়। ইনস্টাগ্রাম থেকে ইউটিউব, সব জায়গাতেই তাঁর ফলোয়ার্সের সংখ্যা কয়েক হাজার। ফুড থেকে ট্রাভেল ভ্লগ, সবই দেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে।
এদিকে আবার নন্দিনী কাজ করছেন বাংলা সিনেমাতেও। নাম তিন সত্যি। যেখানে এক অধ্যাপিকার রোলে দেখা যাবে নন্দিনীকে। চরিত্রের নাম নিলাক্ষী। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এই সিনেমায় নন্দিনীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছেন বিশিষ্ট বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সিনেমার শ্যুটিং শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে আবার নভেম্বরে নতুন দোকান খোলারও পরিকল্পনা ভাগ করে নিয়েছেন। যা আসছে নিউটাউনে। এখানেই শেষ নয়, প্রেমিক রুদ্রকে বিয়ের পরিকল্পনাও করে রেখেছেন, তাও আবার চলতি বছরেই।