অভিনেতা তথা পরিচালক নন্দিতা দাস সম্প্রতি তাঁর একটি সাক্ষাৎকারে জানালেন কীভাবে তাঁর গায়ের রঙের জন্য বিদ্রুপ, কটাক্ষ সইতে হতো। তাঁর নতুন ছবি জুইগ্যাটো আসতে চলেছে। সেটারই কাজ চলছে এখন। মুখ্য ভূমিকায় এখানে কপিল শর্মাকে দেখা যেতে চলেছে। এবার এই ছবি নিজে পিঙ্কভিলার বার্ষিক যে অনুষ্ঠান হয়, ওম্যান আপ, সেটার সিজন ৪ -এর একটি এপিসোডে আসেন নন্দিতা। সেখানেই জানান তিনি নানা অজানা কথা।
এই অনুষ্ঠান এসে নন্দিতা জানান সাম্য নিয়ে তাঁর ভাবনা থেকে একা সন্তান মানুষ করা, ইত্যাদির বিষয়। একই সঙ্গে তিনি বলেন একটা সময় পর্যন্ত তিনি কিভাবে গায়ের রঙের জন্য কথা শুনেছেন মানুষের থেকে।
পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকার অভিনেত্রী বলেন, 'কলেজে আমায় এক আধবার আমার ছাত্রীরা আমায় প্রশ্ন করতো যে ম্যাম আপনি এত কালো হওয়া সত্বেও এত কনফিডেন্ট কীভাবে থাকেন। আমি বলতাম কারণ আমি কখনও এটা নিয়ে ভাবিইনি। আমি এতটা জটিলতার মধ্যে পড়িনি, আমার বাবা মা কখনও এসব আমার মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়নি। কিন্তু আমি কোনও কসমেটিকের দোকানে গেলেই ওরা আমায় বলতো ম্যাম এই অ্যান্টি ট্যান ক্রিম ব্যবহার করে দেখুন, সব ট্যান উঠে যাবে। আমি ওদের বলতাম আমি এই ট্যান নিয়েই জন্মেছি, আর এটা নিয়েই মরব।'
তিনি আরও জানান যে তিনি কীভাবে ২০১৩ সালের পর বুঝতে পারেন যে এই বিষয় নিয়ে চর্চা, কথা বলা কত মেয়ের আত্মসম্মান, মনের জোরকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন '২০১৩ তে, ওমেন অব ওয়র্থ নামক একটি প্রতিষ্ঠান বলেছিল আমাদের একটি কোট দেবেন? ওরা আমায় বলেছিল এই রঙের বিষয়ে তারা কথা বলতে চায়, আমি তখন ওদের সেই কোট দিই, আর সেটা ভাইরাল হয়ে যায়।' তিনি আরও জানান যে অনেকেই তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে এসে কথা বলেছেন। এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছে তিনি বুঝেছেন এই একটা জিনিস তাঁদের জীবনটাকে কীভাবে শেষ করে দিয়েছে।
নন্দিতা এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আরও বলেন, একটি মেয়ে তাঁর কাছে এসেছিল। সেই মেয়েটি নায়িকা হতে চায়, কিন্তু সে জানে তাঁর গায়ের এই রঙের জন্য সে কোনদিন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পাবে না। অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, একটি ৪.৫ বছরের শিশু নাকি স্কুলে যেতে ভয় পায় কেবল তার গায়ের রঙের জন্য! ভাবুন স্কুলেও তাঁকে এই বিষয় নিয়ে কথা শুনতে হয়। শুধু কথা শুনতে হয় এমনটাই নয়, সেটা তাঁর কাছে রীতিমত ট্রমা হয়ে দাঁড়িয়েছে!