প্রসব যন্ত্রণায় ছটপট করছিলাম, ও গার্লফ্রেন্ডদের সঙ্গে ব্যস্ত ছিল: নওয়াজের স্ত্রী

নওয়াজকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়ে ফের অভিনেতার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী আলিয়া।

বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর

বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ফের একরাশ অভিযোগ আনলেন তাঁর পত্নী আলিয়া ওরফে অঞ্জনা। গত মে মাসে নওয়াজের বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা ঠুকেছেন আলিয়া। এবার নওয়াজকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করলেন আলিয়া। যদিও আলিয়ার এই সব অভিযোগকে অভিনেতার ইমেজ নষ্টের চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন নওয়াজের আইনজীবী।  

পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে নওয়াজ পত্নী বলেন, তিনি যখন নওয়াজের প্রথম সন্তানের মা হতে চলেছিলেন তখন অন্য মহিলাদের সঙ্গে ব্যস্ত থাকতেন অভিনেতা। আর নওয়াজের নারীঘটিত সমস্ত ‘কেচ্ছা’র তথ্য নাকি বৌদিকে দিত নওয়াজের ভাই শামাস সিদ্দিকি। আলিয়া বলেন, ‘আমার খুব ভালো ভাবে মনে আছে যখন আমাদের যখন প্রেমপর্ব চলছিল তখনও একটা অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল ও। বিয়ের পরেও ও বদলায়নি। সেই নিয়ে কম ঝগড়া হত না। এরপর যখন আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম, আমাকে এটা সমস্ত চেক-আপের জন্য যেতে হত। আমাকে চিকিত্সক বলেছিলেন আমি পাগল,কারণ আমি নাকি ওঁনার কেরিয়ারে দেখা প্রথম মহিলা এটা সন্তানের জন্ম দিতে হাসপাতালে এসেছে।যখন আমি প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম ও ফোনে গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ব্যস্ত ছিল’।

তিনি আরও জানান, আমি ছ বছর ওঁর সঙ্গে ঘর করেছি এবং আমার জন্য ওর মনে এতটুকুও ইমোশন ছিল না। এই কারণেই আমি ওকে ছেড়ে চলে আসি। আমি সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর বাড়ি ফিরে বুঝলাম আমার বাড়িতে অন্য মেয়ে এসে ছিল। আর ওর এই সব গার্লফ্রেন্ডের খোঁজ আমাকে দিত ওর নিজের ভাই।

আলিয়া নওয়াজকে ৬ই মে ডিভোর্স নোটিশ পাঠান। সেই নোটিশের জবাবও ইতিমধ্যেই দিয়েছেন নওয়াদউদ্দিন সিদ্দিকি।নওয়াজের আইনজীবী আদনান  আগেই জানিয়েছেন, ১৫ই মে নওয়াজ তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পালটা নোটিশ পাঠিয়েছেন। অর্থাত্ আইনত জবাব দেওয়ার সময়সীমার মধ্যেই ডিভোর্স মামলার নোটিশের জবাব দিয়েছেন নওয়াজ। তা সত্ত্বেও তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন আলিয়া।

আলিয়া নওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছিলেন মাসিক খরচ বাবদ কোনও টাকাই আলিয়া ও ছেলেমেয়েদের দিচ্ছেন না অভিনেতা। সেই কারণে, ছেলেমেয়ের স্কুলের বেতন দিতে পারছেন না নওয়াজ পত্নী। যদিও নোটিশে নওয়াজ জানিয়েছেন তিনি সমস্ত ইএমআই (EMI) এবং বাকি খরচ নিয়মিত দিয়ে চলেছেন। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির দাবি তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। 

নওয়াজউদ্দিন ও আলিয়ার দাম্পত্যের মেয়াদ ১০ বছর। ২০১৭ সালে তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরেছে বলে জানা যায়। তারপর থেকেই আলাদা থাকেন দুজনে। দূরে থাকলেও এখনও আইনি মতে স্বামী-স্ত্রী তাঁরা।

নবভারত টাইমস সূত্রে খবর নওয়াজের কাছে ৩০ কোটি টাকা দাবি করেছেন আলিয়া। ১০ কোটি নিজের জন্য, বাকি ২০ কোটি দুই ছেলেমেয়ের জন্য। পাশাপাশি মুম্বইয়ে একটি ফোর বিএইচকে ফ্ল্যাটও বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশে দাবি করেন আলিয়া।