নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির দাম্পত্য কলহ রোজই নতুন মোড় নিচ্ছে। দিন কয়েক আগেই স্ত্রীর অভিযোগ ছিল তাঁর কাছ থেকে সন্তানদের কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন নওয়াজ। আদালতেও অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের রেশ বজায় ছিল। নওয়াজ বউকে সহবাস সঙ্গী বলে বসেন, তো আলিয়া বরের নাম পালটা ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। ফের ইনস্টাগ্রামে একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিয়ো পোস্ট করলেন আলিয়া সিদ্দিকি। সেই ভিডিয়োতে দেখা মিলেছে নওয়াজ-আলিয়ার দুই সন্তান শোরা এবং ইয়ানির।
সেই ভিডিয়োতে কাঁদোকাঁদো হয়ে আলিয়াকে বলতে শোনা গেল, দুই সন্তান-সহ আলিয়াকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন নওয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমরা নওয়াজের বাড়ি থেকে এলাম, সেখানে দেখতেই পাচ্ছেন আমার মেয়ে অঝোরে কাঁদছে। আমাদের বাংলো থেকে বার করে দেওয়া হল, বলা হল আমরা সেখানে ঢুকতে পারব না। আমি বুঝতে পারছি না ছেলেমেয়েকে নিয়ে কোথায় যাব এখন? আমার কাছে মাত্র ৮১ টাকা পড়ে রয়েছে, টাকা নেই, মাথার উপর ছাদ নেই!’
এরপর দেখা যায়, শোরা কাঁদতে কাঁদতেই মায়ের কাছে এগিয়ে আসে। আলিয়ার সংযোজন, ‘নওয়াউদ্দিন আমি তোমাকে কোনদিন ক্ষমা করব না আমার সন্তানদের এই কষ্টটা দেওয়ার জন্য। আমি আপনাদের দেখাতে চাই আমার সন্তানর কী কষ্টটাই না পাচ্ছে এই মাঝরাতে। এই গভীর রাতে আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে, জানি না কোথায় যাব সন্তানদের নিয়ে’।
অপর এক ভিডিয়ো শেয়ার করেন আলিয়া। যেখানে দেখা যায় কোনও আত্মীয়র বাড়ির মেঝেতে শুয়ে রয়েছে তাঁর দুই সন্তান। এই ভিডিয়ো শেয়ার করে আলিয়া ইনস্টা লিখেছেন, ‘এটাই নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির আসল রূপ। নিজের সন্তানদেরও ছাড় দেয়নি সে।’ আলিয়া জানান, ভারসোভা পুলিশের তরফে ডাক পেয়ে থানায় গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন বাংলোয় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছেন নওয়াজ। তারা বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয় আলিয়া ও তাঁর সন্তানদের। এর জেরেই এক কাপড়েই রাস্তায় ঠাঁই হয় তাঁদের। পরে আলিয়ার এক আত্মীয় তাঁর এক কামরার ঘরে জায়গা দেন তিনজনকে।
আলিয়া ওরফে জয়নব ওরফে অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডে জানান, ২০০৪ সালে নওয়াজের সঙ্গে প্রথম পরিচয় তাঁর। সেইসময় তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন।২০১০ সালে আলিয়াকে বিয়ে করেন নওয়াজ। আলিয়ার দাবি, তাঁর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ককে এখন নওয়াজ অস্বীকার করছেন। অভিনেতা আদালতে জানিয়েছেন, তিনি আলিয়ার সঙ্গে লিভ ইন করছিলেন। বিবৃতিতে নওয়াজ বলেছেন, ২০১১ সালেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। এদিকে আলিয়া মানতে রাজি নন এই ডিভোর্সের কথা। সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে সরাসরি জানিয়েছেন, কোনও ডিভোর্সের কাগজে সই করেননি তিনি। এর আগে একবার ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন ঠিকই, তবে পরবর্তীতে কথা বলে নিজেরা সব কিছু মিটিয়ে নেন।