নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি-এই নামটার সঙ্গে নতুন করে আলাপ করানোর কিছু নেই। দুর্দান্ত অভিনেতা তিনি। তবে অভিনেতা দারুণ হলেও তিনি যে মোটেও সুদর্শন নয়, তা এক সাক্ষাৎকারে অকপটে স্বীকার করে নিলেন নওয়াজউদ্দিন। নওয়াজ কথা বলেছেন নিজের চামড়ার রং নিয়েও।
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে নওয়াজ বলেন, ‘আমার চামড়ার রঙের কারণে আমি আমার কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলোতে নিরাপত্তাহীনতায় ছিলাম। গায়ের রং বদলাতে আমি অনেক ফেয়ারনেসক্রিম লাগিয়েছি কিন্তু কিছুই বদলায়নি। পরে, আমি বুঝতে পারি আসলে এগুলি কী! নওয়াজ আরও বলেন, ’যেহেতু আমার আশেপাশের লোকজন আমায় এটা বুঝিয়ে দিয়েছিল যে আমি সুন্দর দেখতে নই। তাই আমিও সেটাই বিশ্বাস করেছি। কিন্তু যখন আমি ওই পরিবেশ থেকে বের হয়ে আসি তখন বিষয়টা বদলে যায়।'
নওয়াজের কথায়, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বাস করতাম যে আমি দেখতে ভালো লোক নই। কিন্তু বাইরে গিয়ে বুঝলাম আমি ঠিক আছি, আমায় মুখটা মন্দ নয়।’
আরও পড়ুন-তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে নবনীতার প্রেমের গুঞ্জন, জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে জড়িয়ে ছবি দিলেন জিতু
আরও পড়ুন-কীভাবে ২ সপ্তাহে ওজন কমিয়েছেন সারা! ফাঁস করে বসলেন ফিটনেস ট্রেনার
নওয়াজ বলেন, ‘আশেপাশের লোকজনের জন্যই আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করি। অভিনেতা বলেন, ’আসলে নিজের চেহারার নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়, সেটা সাধারণত অন্য মানুষের কাছ থেকেই তৈরি হয়। নিজেকে কেমন দেখতে, সেটাকে আগে গ্রহণ করতে শিখতে হবে, সেটা চেহার হোক কিংবা গায়ের রং।'
নওয়াজের কথায়, 'আমি যে সময়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন যখন তথাকথিত 'প্রচলিত' এবং 'অপ্রচলিত' চেহারার অভিনেতাদের মধ্যে একটি বিশাল বিভেদ ছিল। প্রায় এক দশক ধরে সেই যুদ্ধে আমিও লড়াই করেছি। আমি যে একজন দক্ষ অভিনেতা তা প্রমাণ করতে আমার ১০-১২ বছর লেগে গিয়েছে। কিন্তু এই প্রচলিত বনাম অপ্রচলিত চেহারার পার্থক্যটা সবসময়ই থাকবে। কারণ মানুষের মনে একটি নির্দিষ্ট উপলব্ধি ও ছবি রয়েছে। তাই এই লড়াইটাও চিরকালীন। তবে দর্শক আমায় এখন অনেক বেশি গ্রহণ করছেন।'
প্রসঙ্গত, কাজের ক্ষেত্রে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে শেষবার ZEE5-এর ‘হাড্ডি’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল।