মাদককাণ্ডে আরিয়ান খানের নাম জড়ানো, গ্রেফতারি এবং রেহাই পরবর্তী সময়েও এই মামলা নিয়ে অদ্ভূত নীরবতা বজায় রেখেছেন শাহরুখ খান ও তাঁর পরিবার। গত বছর অক্টোবরে গোয়াগামী কোর্ডেলিয়া ক্রুজ থেকে এনসিবির হাতে আটক ও পরবর্তীতে গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র। প্রায় একমাস জেলবন্দি ছিলেন ‘মন্নতের রাজকুমার’। যদিও গত মাসেই এনসিবির তরফে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে আরিয়ানকে। কোর্ডেলিয়া ক্রুজ মাদক মামলায় দাখিল চার্জশিটে নাম নেই আরিয়ান খানের।
আরিয়ানের মাদকযোগ নিয়ে শাহরুখ কোনও মন্তব্য মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ায় না করলেও, সম্প্রতি মুখ খুলেছেন এনসিবি আধিকারিক ফাঁস করেছেন কিং খানের প্রতিক্রিয়া। ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর (অপারেশন) সঞ্জয় সিং জানান, শাহরুখ খান তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন যে সময় আরিয়ান হেফাজতে ছিল। ছেলের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন শাহরুখ। বলিউড সুপারস্টার অনুরোধ জানিয়েছিলেন, আরিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবার ও গোটা রাত ছেলের সঙ্গে থাকবার। যদিও অনুমতি মেলেনি। শাহরুখ সেই সময় জানান, কোনওরকম প্রমাণ ছাড়াই আরিয়ানকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
ছেলের কথা বলতে বলতে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে শাহরুখের। তিনি হতাশা আর আফসোসের সুরে বলে উঠেন, ‘মনে হচ্ছে আমরা কোনও বিরাট অপরাধী বা দানব, যারা নিমেষে এই সমাজকে শেষ করে দেব। প্রতিদিন কাজে যাওয়া অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে আমাদের জন্য’।
নিম্ন আদালতে বারবার আরিয়ানের জামিনের আর্জি খারিজ হলেও বম্বে হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেয় শাহরুখ খানকে। এই মামলায় উত্তাল হয়ে উঠে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলও। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে, পরে এনসিবির তরফে এই মামলা মুম্বই ব্রাঞ্চের হাত থেকে নিয়ে তুলে দেওয়া হয় দিল্লির এক বিশেষ তদন্তকারী টিমের হাতে। সেই সিটেরই দায়িত্বে ছিলেন সঞ্জয় সিং। তাঁর টিম গত ২৮শে মে আদালতে যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই। তাই চার্জশিটে নাম নেই শাহরুখ পুত্রের।