কিছুদিন আগেই ভার্চুয়ালি প্রকাশ্যে এসেছে অভিনেত্রী নীনা গুপ্তার আত্মজীবনী ‘সাচ কহু তো’। বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেছিলেন করিনা কাপুর খান। নিজের জীবনের নানা অজানা কথা সেই বইতে তুলে ধরেছেন নীনা। যা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। শুধু নিজের জীবন নিয়ে নয়, বইয়ে মা-বাবার কথাও লিখেছেন অভিনেত্রী। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে তাঁর বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন নীনা গুপ্তার মা। বাবাকে ছাড়া বড় হওয়ার গল্পও তিনি তুলে ধরেছেন এই বইয়ে।
নীনা গুপ্তা জানিয়েছেন ‘সাচ কহু তো’ তাঁর জীবনের সমস্ত সত্য ঘটনা তুলে ধরেছে, কীভাবে তাঁর কেরিয়ার ওপর দিকে উঠেছে আর ব্যক্তিগত জীবনে নানা সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তাঁর জীবনের নানা দিক ছুঁয়ে গিয়েছে এই বই-- বিতর্কিত প্রেগন্যান্সি, সিঙ্গেল মাদারহুড ও বলিউডে ধামাকেদার কামব্যাক।
বাবা-মায়ের সম্পর্কের সমীকরণ লিখতে গিয়ে নীনা লিখেছেন, ‘আমার বাবা অত্যন্ত সাহসী ছিল যে পরিবারের অমতে গিয়ে নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে বিয়ে করেছিল। কিন্তু একইসঙ্গে পরিবারের কথা ফেলতে না পেরে নিজের জাতের মেয়েকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিল।’
নীনা আরও জানান, এই খবর সামনে আসার পর ভেঙে পড়েছিলেন তাঁর মা আর নিজের জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। নীনার কথায়, ‘আমার বাবার এই প্রতারণা মা মেনে নিতে পারেননি। অবস্থা এমন হয়েছিল যে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আমরা এটা বুঝতে অনেক সময় লেগেছিল প্রতিদিন ডিনারের পর বাবার বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া স্বাভাবিক নয়। এটা বুঝতে সময় লেগেছিল আবার সকালে ব্রেকফাস্টের সময় বাড়ি ফেরা তারপর পোশাক বদলে অফিস যাওয়াও স্বাভাবিক নয়। ঠিক যেমন স্বাভাবিক নয় সীমা আন্টি (এটা বলেই আমরা ডাকতাম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে, নাম বদল রাখা হয়েছে)-র সঙ্গে রাতে শুতে যাওয়া।’
প্রসঙ্গত খবর অনুযায়ী, নীনার মা শকুন্তলা গুপ্তা, পঞ্জাবি মেয়ে যে নিজের জাতের বাইরে গিয়ে বিয়ে করে নীনার বাবা রূপনারায়ন গুপ্তাকে। দ্বিতীয় বিয়ে থেকে নীনার বাবার দুই ছেলেও আছে।