আর বাল্কীর ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’-এর হাত ধরে ফের একবার পর্দায় ফিরছেন নীনা গুপ্তা। এই ছবিতেই একজন অশীতিপর মহিলার ভূমিকায় দেখা যাবে নীনাকে। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে 'লাস্ট স্টোরিজ-২'-তে অভিনয় থেকে শুরু করে নানান বিষয়ে কথা বলেছেন নীনা। ৮০ ঊর্ধ একজন মহিলার চরিত্রে অভিনয়ের সময় কণ্ঠস্বর নিয়ে কীভাবে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে, সেবিষয়েও কথা বলেন নীনা। উঠে এসেছে ব্যক্তিগত নানান কথাবার্তাও।
‘লাস্ট স্টোরিজ-২’-তে কেন এমন বৃদ্ধা দাদী মায়ের চরিত্রে অভিনয় করলেন? এবিষয়ে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, ‘কারণ, ছবিতে আমার মুখ থেকে যা বলানো হয়েছে, সেটা যদি দাদী মা হয়ে না বলতাম তবে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। এই কারণেই একজন দাদী মায়ের জন্য এই বিষয়গুলো বলা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা আমরা ছবিতে বলেছি।’
আরও পড়ুন-'পদার্থবিদ্যা ও অঙ্কে ফেল করা ছাত্রী'! মাধ্যমিকে বাংলায় ঠিক কত পেয়েছিলেন স্বস্তিকা?
সাক্ষাৎকারে যৌন শিক্ষা নিয়েও মুখ খোলেন নীনা। বলেন, তরুণদের যৌনতার পাঠ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকী আমিও যখন কলেজে পড়তাম, তখন ভাবতাম চুমু খেলেই হয়ত অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ব। আমার বেড়ে ওঠার সময় মায়ের অনেক বিধি-নিষেধ ছিল।'
নীনা বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠার সময়, ১২-১৩ বছর বয়স পর্যন্ত, আমি আমার বাবা-মাকে আলাদা বেডরুমে ঘুমাতে দেখিনি। আমরা সবাই একটা ঘরে ঘুমোতাম যেখানে একটা ডাবল বেড ছিল। বাবা-মা সেখানে ঘুমোতেন, আমি আর আমার ভাই বিছানার পাশের গদিতে ঘুমোতাম। মাঝে মাঝে আমি আমার বাবা-মায়ের মাঝেও গিয়ে শুতাম। যৌনতা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমার মা আমাকে এইবিষয়ে কোনওদিনই কিছু বলেননি। এমনকী পিরিয়ড কী সেটাও কখনও মা বলেননি। মা খুবই কঠোর ছিলেন। আমি যখন কলেজে পড়ি তখনও মা বান্ধবীদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার অনুমতি দিতেন না। তবে আমার মনে হয় অল্পবয়সীদের যৌনতার পাঠ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
নীনার কথায়, 'আগে তো মেয়েদের সঙ্গে যৌনতার বিয়ের আগের দিন রাতে কথা বলা হত, জানানো হত। বলা হত রাতে যেটা ঘটবে, তাতে যেন সে ভয় না পায়। স্বামী যেন পালিয়ে না যায়। মহিলাদের বলা হত সন্তানের জন্ম দেওয়াই কাজ। বলা হত, স্বামী যদি যৌনতায় লিপ্ত হতে চান, তাহলে স্ত্রী হিসাবে তাঁকে কর্তব্য পালন করতে হবে। যদিও আজও এসব ঘটে। তাই লাস্ট স্টোরিজ-২রতে গল্পটা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'