১৫ই নভেম্বর সাত পাক ঘুরে সাত জনমের বাঁধনে বাঁধা পড়েছেন রাজকুমার রাও ও পত্রলেখা। বলিউডের অন্যতম 'হ্যাপি কপল' হিসাবেই বরাবর পরিচিত এই জুটি। 'শাদি কা লাড্ডু' তো দুজনেই খেয়ে ফেলেছেন। কিন্তু তাঁদের বিয়ের লাড্ডু খেতে চণ্ডীগড়ে উপস্থিত হতে পারেনি সব বন্ধুরা, কিংবা ইন্ডাস্ট্রির সবাইকে আমন্ত্রণও জানতে পারেননি দুজনে, তাঁদের জন্য বাক্স ভর্তি 'শাদি কা লাড্ডু' পাঠালো নবদম্পতি।
দুই পরিবার ও ইন্ডাস্ট্রির কাছের বন্ধুদের উপস্থিতিতে বিয়ের পর্ব সেরেছেন রাজ-পত্রলেখা। বিয়ের আসরে পৌঁছেছিলেন ফারহা খান, হনসল মেহতারা। এদিন ইনস্টাগ্রামে ফ্যাশন ডিজাইনার তথা অভিনেত্রী মাসাবা গুপ্তা নবদম্পতির তরফে পাঠানো উপহারের ঝলক শেয়ার করে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাক্স ভর্তি মতিচুরের লাড্ডু আর একটি বিশেষ চিঠি পাঠিয়েছেন 'সিটিলাইটস' জুটি।
ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, 'আমরা বিয়েটা সেরে ফেললাম! আমরা খুব উত্তেজিত তোমাদের এটা জানাতে পেরে। ১১ বছর একসঙ্গে কাটানোর পর, দুই বেস্ট ফ্রেন্ড চণ্ডীগড়ে বিয়ে করল। পরিস্থিতির জেরে আমরা ওই বিশেষ দিনটাই আমার সব কাছের মানুষদের ডাকতে পারিনি। খুব সাধারণ একটা উপহার আমাদের এই বিশেষ মুহূর্তটা সেলিব্রেট করবার জন্য। অনেক ভালোবাসা আমাদের তরফে'।
রাজকুমার-পত্রলেখার বিয়ের নানান মুহূর্ত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যালে। তাঁদের অফিসিয়্যাল ওয়েডিং ভিডিয়োতে পত্রলেখাকে স্বামীর উদ্দেশে বলতে শোনা গেছে, 'রাজ, এগারো বছর হয়ে গিয়েছে আমরা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছি। কিন্তু আমি অনুভব করি, তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক সারা জীবনের। আর এটা শুধু এক জীবনের জন্য যেন নয়। অনেক অনেক জীবন ধরে আমরা একে অপরের সঙ্গী হয়ে আসছি।'
ভিডিয়োর মাঝে রাজকুমার স্মৃতি হাতড়ে বলেন, 'সত্যি কথা বলতে, আমাদের সম্পর্ক দেখতে দেখতে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু আজও আমার মনে হয়, এই তো সবে আমরা ডেটিং করা শুরু করলাম। আমরা একে অপরের সঙ্গে থাকতে খুবই ভালোবাসি। আমরা একে অপরকে নিজেদের আত্মার সঙ্গীও বলে থাকি। আর এটা আমি নিজেও খুব বিশ্বাস করি। পত্রলেখার সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার স্ত্রী হওয়ার জন্য।'