জি বাংলার অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’। ঊর্মি-সাত্যকি জুটিকে শুরু থেকেই ভালোবাস উজাড় করে দিয়েছে দর্শকরা। এর জেরেই রাতের স্লট থেকে এগিয়ে এনে ৯টায় স্লট পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে এই ধারাবাহিককে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই সিরিয়াল। ছোট ঠাম্মি এবং ছোট দাদুকে বেশ কিছু মাস ধরেই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে না। সেই নিয়ে বারবার জানতে চাইছিল দর্শক।
শিল্পীদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই এই চরিত্র দুটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছিল। সিরিয়াল থেকে বাদ পড়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন 'ছোট দাদু' ফাল্গুনি চট্টোপাধ্যায়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি ওঠে ছোট ঠাম্মি ও ছোট দাদুকে যত দ্রুত সম্ভব গল্পে ফেরানোর। ব্যর্থ গেল না সেই দাবি।
সিরিয়ালে ফেরা প্রসঙ্গে ছোট ঠাম্মি মানে অভিনেত্রী মানসী সিনহা জানান, অংশুমান প্রত্যুষের তিনটি ছবির শ্যুটিং জন্য তিনি বেশ কয়েক সপ্তাহ লন্ডনে ছিলেন। এরপর কলকাতায় ফিরে নিজের পরিচালিত ছবির শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাঁর কথায়, ‘আমার চরিত্রটি বাদ রাখা হয়েছিল বলেই হয়ত ছোট দাদুর চরিত্রটি গল্প থেকে বাদ পড়ে’। অভিনেত্রী এও জানান, পারিশ্রমিক নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি। যদিও শুরু থেকেই স্বর্নেন্দু সমাদ্দারের এই প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে সময়মতো পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি পারিশ্রমিক নিয়ে মতবিরোধের জেরে সিরিয়াল থেকে অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও খবর।
ছোট দাদু অর্থাৎ অভিনেতা ফাল্গুনি চট্টোপাধ্যায় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, 'শুরুতে বিষয়টা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল তাই অভিযোগ জানিয়েছিলাম। এখন বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে গেছে। ভালো মনেই ফিরছি'।
পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যার অভিযোগ মানতে না-রাজ প্রযোজক স্বর্নেন্দু সমাদ্দার। তিনি বলেন, ‘সময় নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল বলে দুজন শিল্পী বাদ পড়েছিলেন। তাঁরা তো পারিশ্রমিক নিয়ে অভিযোগ জানাননি। এখন গল্পের মোড় ঘুরে গিয়েছে। তাঁর আবার ফিরেছেন’।