ইউটিবাররা অনেকেই ঘরের মানুষ হয়ে যান নেট-নাগরিকদের। বিশেষ করে যারা ডেইলি ভ্লগার। আপাতত চর্চায় রয়েছেন ‘পপি কিচেন’ চ্যানেলের পপি। সম্পূর্ণ গ্রাম্য পরিবেশে, ঘরোয়া আয়োজনে, দেশি-বিদেশি নানা পদ নিজের হাতে রেঁধে, জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই মহিলা। পুকুরের ধারে, মাটির উনুনে রান্না করেন পপি কাঠ দিয়ে। কখনও সঙ্গী হয় শাশুড়ি, কখনও জা। আর পপির হাতের রান্নার সবচেয়ে গুনমুগ্ধ ভক্ত হলেন বাড়ির সবচেয়ে বয়স্ক সদস্য, দাদু।
শীঘ্রই পপি মা হতে চলেছেন। সেই কথা জানিয়েওছেন নিজের সাবস্ক্রাইবারদের। আজকাল নীচে বসে রান্না করতেও সমস্যা হচ্ছে তাঁর। বরং পপি কিচেনের রান্না-র দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন তাঁর শাশুড়ি।
একাধিক ভিডিয়োতে রান্নার পাশাপাশি পপিকে শেয়ার করে নিতে দেখা যাচ্ছে নিজের দ্বিতীয়বার সন্তানসম্ভবা হওয়ার এই জার্নিও। বরাবরই নিজের হাতে সবকাজ করতে ভালোবাসেন। ভোরবেলা উঠে চলে যেতেন সবজির ক্ষেতে, পুকুরে নেমে নিজেই মাছ ধরতেন। সেসব এখন বারণ। গ্রামের ঠান্ডায় একটু কষ্টই পাচ্ছেন। একটা ভিডিয়োতে দেখা গেল ছেলেকে তৈরি করে স্কুলে পাঠাচ্ছেন। আবার আরেক ভিডিয়োতে দেখা যায়, বেবি বাম্পের কারণে নীচু হয়ে পরতে পারছেন না জুতো। সাহায্য করছে বর। আরেকটা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল তাঁর জন্য হাতে ওষুধ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বর। অর্থাৎ, বেশ আদরেই রেখেছেন তিনি স্ত্রীকে।
ডাক্তার দেখাতে কলকাতায় আসার কথাও জানিয়েছেন এই ইউটিউবার। অনেকটা রাস্তা আসতে হয়। তবে হাসপাতালে এসে অনেকেই তাঁকে চিনতে পারে। এগিয়ে আসে কথা বলতে। যা নিসন্দেহে এক বড় পাওনা। নতুন বছরের প্রথম দিন পপি কীভাবে কাটালেন সেটাও ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে। বাড়ির সকলে মিলেই করেছিলেন পিকনিক।
ফেসবুকেও তিনটি পেজ খুলে ফেলেছেন এই ‘সহজ-সরল গ্রামের বউ’টি। একটির নাম ‘পপি কিচেন’। অপর দুটির নাম ‘পপি কিচেন ফ্যামিলি ভ্লগ’ ও ‘দ্য রিয়েল ভিলেজ কুকিং’। মাঝে তিনটি পেজই চলে গিয়েছিল হ্যাকারদের দখলে। সেই সময় কেঁদেকেটে সকলকে তা জানিয়েওছিলেন পপি। যদিও এখন অনাগত সন্তানকে নিয়েই সব ভাবনা। বড় সাবধানে কাটাচ্ছেন প্রেনন্যান্সির শেষ সময়টা।
এতদিন ছেলে অর্জুনকে নিয়ে কাটত জীবন। তবে খুব জলদি কোলে আসবে দ্বিতীয় সন্তান। পপির পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সকলেও চাইছেন, এবার একটা ফুটফুটে মেয়ে আসুক। সুখবরের আশায় বুক বেঁধে বসে আছে পপি-ভক্তরাও।