পর্নকাণ্ডে আশার আলো দেখছেন না রাজ কুন্দ্রা। বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টে দ্বিতীয় দিন বসেছিল অভিযুক্তর জামিনের আর্জির শুনানি। দীর্ঘ সময় ধরে সওয়াল জবাবের পরেও এই মামলার শুনানি সম্পূর্ণ হয়নি। এদিন বিচারপতি এএস গডকরির এজলাসে চলছিল শুনানি পর্ব, রাজ কুন্দ্রা হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী আবাদ পন্ডা, অন্যদিকে রাজ কুন্দ্রার সহকর্মী তথা এই মামলার অপর অভিযুক্ত রায়ান থর্পের কৌঁসুলি হিসাবে আদালতে হাজির ছিলেন অভিনব চন্দ্রচূড়।
এদিন দুই অভিযুক্তের হয়ে সওয়াল করেন তাঁদের আইনজীবীরা। রাজ কুন্দ্রার আইনজীবীর দাবি, শেষ মুহূর্তে তাঁর মক্কেলকে সিআরপিসি ৪১(এ)-এর নোটিশ ধরানো হয়েছিল। রাজ কুন্দ্রা তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছিলেন তা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে আনা একমাত্র দুটি ধারাই জামিন অযোগ্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ নম্বর ধারা (জালিয়াতি) এবং আইটি অ্যাক্টের ৬৭(এ) ধারাটি। দোষ প্রমাণিত হলে এই ধারায় ৭ বছর এবং ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা মিলবে। সেই জায়গায় থেকেই রাজ কুন্দ্রার জামিনের আর্জি জানান আবাদ পন্ডা।
বিবাদী পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষের পর মুলতুবি করে দেওয়া হয় আদালত। বিচারপতি শনিবার সরকারি আইনজীবীর জবাব শুনবেন। মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে এই মামলা লড়ছেন আইনজীবী অরুণা পাই।
গত ১৯শে জুলাই রাতে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হন রাজ কুন্দ্রা। তাঁর বিরুদ্ধে পর্ন ভিডিয়ো তৈরি এবং অ্যাপের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পেশ করবার পর রাজ কুন্দ্রাকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আপতত এই কোটিপতি ব্যবসায়ীর ঠিকানা আর্থার রোড জেল। গতকাল মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে খারিজ হয়ে যায় রাজ কুন্দ্রার জামিনের আর্জি, অন্যদিকে এদিনও বম্বে হাইকোর্টে ঝুলে রইল জামিনের আবেদনের শুনানি।