প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস এখন বলিউডের গ্লোবাল আইকন। বি-টাউন থেকে গত কয়েক বছর দূরে থাকলেও আন্তর্জাতিক বিনো-দুনিয়াতে পর পর ছক্কা হাঁকাচ্ছেন দেশি গার্ল। শুধু অভিনেত্রী বা প্রযোজক হিসাবেই নয়, প্রিয়াঙ্কার ব্যক্তিগত জীবনেও খুশির জোয়ার। নিক জোনাসের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন অভিনেত্রী। তবে কয়েক বছর আগের ছবিটা ছিল একদম আলাদা। ২০১৬ সালে যখন হলিউডে গিয়ে নিজের ভাগ্যপরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পিগি চপস, তখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন নায়িকা। মন ভেঙেছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার, আর তার মাত্র কয়েক বছর আগে বাবাকে হারানোর শোকও তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি প্রিয়াঙ্কা। প্রেম সম্পর্ক ভাঙার ধাক্কাটা জোরদার ছিল। সেই সময় বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে কার্যত সব সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। শুধুমাত্র কোয়ান্টিকোর শ্যুটিং যেতেন অভিনেত্রী, আর সেখান থেকে সোজা ঘরে ফেরা। এই মুশকিল সময়ে ৯ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার।
ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী, মায়ের (মধু চোপড়া) সামনে নিজের মনের ঝাঁপি খোলার সাহস দেখাননি প্রিযাঙ্কা। রাতের পর রাত তিনি ঘুমোতে পারতেন না। প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘ আমি একাকীত্বে ভুলছিলাম, একসঙ্গে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম, খুব কষ্টে ছিলাম। কেউ বুঝতে পারেনি আমার ভিতরে কী চলছিল, কারণ আমি কাউকে কিছু বলিনি'। নিজের আত্মজীবনী ‘আনফিনিসড’-এ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী।
নিজের কেরিয়ারের উঠাপড়া থেকে ব্যক্তিগত জীবনের নানান অজানা অধ্যায় 'আনফিনিসড'- এ তুলে ধরেছেন প্রিয়াঙ্কা। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে এই বই। জীবনের অপর এক অধ্যায় সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, ২০০০ সালে বিশ্ব সুন্দরী খেতাব জেতার পর প্রথম ছবির অডিশন দিতে গিয়ে আরও একটি খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। স্বাধীনচেতা মনোভাবাপন্ন হওয়ার দরুন প্রিয়াঙ্কা জানান, প্রথমে সামান্য কিছু কথোপকথনের পরই পরিচালক তথা প্রযোজক তাঁকে একপাক ঘোরার কথা বলেন। তিনি সেটা করেন। এরপরই তিনি অভিনেত্রীর দিকে রূঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। এমনকি প্রিয়াঙ্কার শরীর সম্পর্কে নানা অশালীন মন্তব্য করেন। প্রিয়াঙ্কাকে বলেন, অভিনেত্রী হতে গেলে শারীরিক গঠন, বক্ষদেশ এবং নিতম্বের বিষয় নজরে রাখতে হবে, এমনকী লস অ্যাঞ্জেলসে ডাক্তারের খোঁজ দেন।