বিগ বসের ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে অর্চনা গৌতমের। তবে উত্তর প্রদেশের এই কন্যে মন জিতেছেন গোটা দেশের। অর্চনার চেঁচামেচি অনেকের অস্বস্তির কারণ হলেও কোনওরকম দলবাজি ছাড়া গ্র্যান্ড ফিনালাতে পৌঁছে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ‘শেরনি’ অর্চনা। অনেকের মধ্যে গোটা সিজনের মূল ‘এন্টারটেনার’ অর্চনা।
উত্তর প্রদেশের এক গ্রামের মেয়ে থেকে বিকিনি মডেল, এরপর রাজনীতির মঞ্চে উত্থান- অর্চনার সফর চমকে দেওয়া মতো। বিগ বসের মঞ্চ তাঁকে আরও বেশি জনপ্রিয়তা দিয়েছে। বিগ বস সিজন ১৬-তে চতুর্থ স্থান দখল করেছেন অর্চনা। সেরা তিনে জাগয়া না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে পুরোদমে। তবে হতাশ নন তিনি। অর্চনার কথায়, ‘খারাপ তো লাগবেই। সকলেই চায় ট্রফি জিততে। আমার তো একবার মনে হল এতো বিনোদনের রসদ জুগিয়েও জিততে পারলাম না, আমার লজ্জা হওয়া উচিত। তবে আমার বাবা, আর বাড়ির সকলে বোঝালো ট্রফি জেতাটাই শেষ কথা নয়। আমি এতো মানুষের মন জিতেছি, সেটাও বড় পাওয়া’।
কংগ্রেস দলের কর্মী অর্চনা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত মিস ইন্ডিয়া বিকিনি শিরোপা জেতা অর্চনা গৌতম। গত বছর উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে হস্তিনাপুর কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন অর্চনা। যদিও রাজনীতির ময়দানেও পরাজিত হন এই বিগ বস প্রতিযোগি। দল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অনুমতি নিয়েই বিগ বসের ঘরে প্রবেশ অর্চনার। সফর শেষে জানালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছ থেকে কোন পেপ-টক নিয়ে বিগ বসের ঘরে এসেছিলেন তিনি। অর্চনা বলেন, ‘দিদি বলেছিল বিগ বসের সফরটা এনজয় করতে। তবে উনি আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন আমি যেন পার্টির মাথা হেঁট না করি। এর জেরেই শুরুর দিকে আমি নিজেকে একটু খোলসে মুড়ে রেখেছিলাম’।
বিগ বসের ঘরে অর্চনার মুখে বহুবার ‘দিদি’ সম্বোধন শোনা গিয়েছে। অথচ ‘দিদি’ ডাক নিয়ে খোঁটা দেওয়ায় শিব ঠাকরের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়েছিলেন অর্চনা। এমনকি হাতাহাতির জেরে তাঁকে ঘর থেকে বার পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সলমন খানের হস্তক্ষেপে ফের বিগ বসের ঘরে প্রবেশ করেন অর্চনা। এরপর সলমন ও বিগ বসের কড়া নির্দেশ ছিল, ‘দিদি’ তুলে যেন কখনও অর্চনাকে কোনওরকম টিপ্পনি না করা হয়।
২০১৬ সালে বলিউডে এন্ট্রি নেন অর্চনা। গ্রেট গ্র্যান্ড মস্তি ছবির সঙ্গে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল এই বিকিনি মডেলের। এরপর হাসিনা পার্কার, বারাত কোম্পানিতে কাজ করেছেন তিনি।