একজন টলিউড ‘ইন্ডাস্ট্রি’ আর অন্যজন সাড়া ফেলে দিয়েছেন দুই বাংলায়। সৌজন্যে হইচইয়ের ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। চঞ্চল চৌধুরীতে মজে এপার-ওপার বাংলা। এর মাঝেই একফ্রেমে ধরা দিলেন প্রসেনজিৎ ও চঞ্চল চৌধুরী। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজের বাড়িতে নৈশভোজের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরীকে। চঞ্চল চৌধুরীর পাশাপাশি শেহনাজ খুশি, বিজরী বরকতউল্লাহ, ইন্তেখাব দিনার, বৃন্দাবন দাসের মতো ঢালিউড তারকারাও আমন্ত্রিত ছিলেন প্রসেনজিৎ-এর বালিগঞ্জের বাড়ি ‘উৎসব’এ।
২০১০ সালে গৌতম ঘোষের 'মনের মানুষ' ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ ও চঞ্চল চৌধুরী। সেই সময় থেকেই দুজনের মনের টান অটুট। ১২ বছর পর ফের একফ্রেমে ধরা দিলেন দুজনে। প্রসেনজিৎ-এর বাড়ির ‘দাওয়াত’ এর ফ্রেমবন্দি মূহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ‘কারাগার’ অভিনেত্রী বিজরী। সঙ্গে লিখেছেন, ‘একজন শিল্পীর বিনয় তাকে মানুষ হিসেবে অনেক উঁচুতে নিয়ে যায়। সেটি প্রমাণ করেছেন কলকাতার প্রথিতযশা জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (বুম্বাদা)। তার সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ও বিনয়ে আমরা মুগ্ধ হলাম। তিনি রাতের খাবারের আয়োজন করেছিলেন তার বাড়িতে আমাদের জন্য মানে বাংলাদেশের কিছু শিল্পীদের জন্য। চমৎকার সময় আমরা কাটিয়েছি তার বাড়ীতে। ভীষণ পরিপাটি এবং শৈল্পিকতার ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ এ বাড়িটির রয়েছে ঐতিহাসিক মর্যাদা। দারুন একটি সময় কাটালাম আমরা। চঞ্চল চৌধুরী তোমাকে ধন্যবাদ এই উদ্যোগটি নেয়ার জন্য।’
সুসজ্জিত এবং সুবিশাল ডাইনিং টেবিলে বসে নৈশভোজ খাওয়ার ঝলক থেকে আদ্যন্ত সিনেমাপ্রেমী বুম্বাদার বাড়ির আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সিনেমা-প্রেমের ঝলক উঠে এসেছে সেই সব ছবিতে।
অন্যদিকে শাহনাজ খুশি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘একেক জনের পছন্দ একেক রকম। অভিনেতা হিসাবে প্রসেনজিৎ চাটার্জি কেমন, সে বিচার দীর্ঘদিন ধরে মানুষ করেছে, করছে,ভবিষ্যতেও আরও করবে! কিন্তু শিল্পের মানুষকে কিভাবে সম্মান দেখাতে হয় তা সত্যি উনার কাছে শেখার আছে!! বাসায় নিমন্ত্রন করা,অঢেল সময়/ গল্প এবং ডিনার সহ আন্তরিক আপ্যায়ন মুগ্ধকর।….আপাদমস্তক শিল্পীত এ শিল্পীর প্রতি সম্মান জানাই এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করি।’