মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি পোস্ট করেন আর মাধবন। লেখাই বাহুল্য, জনপ্রিয় এই তারকা-অভিনেতার সেইসব পোস্ট নেটপাড়ায় ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগে না। বিশেষ করে তাঁর অনাবৃত ঊর্ধ্বাংশের সেলফি। তা কিভাবে হু হু করে ভাইরাল হয় তাঁর সেসব সেলফি? এর পিছনে থাকা রহস্যটা ঠিক কী? স্বয়ং মাধবনের কাছেও এর জবাব নেই।
'রেহেনা তেরি দিল মে' ছবি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকমনে মাধবন মানেই রোম্যান্টিক চকোলেট হিরোর সমার্থক শব্দ। সেখানে তাঁর অনাবৃত সুঠাম ঊর্ধ্বাংশ দেখে অস্টাদশীরা পর্যন্ত 'হট' বলছে। সোশ্যাল মিডিয়ার আনাচে কানাচে দুরন্ত গতিতে ঘুরছে সেসব ছবি। এই প্রসঙ্গ উঠতেই দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তারকা জানান তিনি নিজেও যেমন অবাক তেমন লজ্জিতও বটে। মাধবনের কথায়, 'বিশ্বাস করুন, আমি নিজেও জানি না কেন আমার সেইসব সেলফি এত ভাইরাল হয়। আমি ভালো করে জানি অতটাও 'হট' আমি নই। মানে বলতে চাইছি, হৃতিক রোশনকে দেখুন একবার। একেবারে 'গ্রিক গড', ওঁর সেই অ্যাপিলটা রয়েছে। সেখানে আমাকে নিয়ে এত মাতামাতি দেখে সত্যিই অবাক লাগে আর কী'।
সামান্য হেসে মজার সুরে মাধবন আরও জানান এইসব ছবি দেখে তাঁর স্ত্রী কী বলেন। তারকা-অভিনেতার কথায়, ' এদিকে এসব ছবি দেখে আমার স্ত্রী বেশ ধমকের সুরে নির্দেশ দেয় জামাটা পরে ফেলার। সঙ্গে ও বলে আমার যা বয়স, সেই অনুযায়ী নাকি নিজেকে আমার পেশ করা উচিত। তাই জামা খুলে এইসব ছবি যেন পোস্ট না করি'। তা কী করবেন মাধবন? সে প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিলেও দুষ্টুমি করে 'বিক্রম বেদা' ছবির নায়ক বলেন, 'আপাতত এইমুহূর্তে জন্য আনন্দটুকু উপভোগ করতে ক্ষতি কি?'
তা কেনই বা তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন তার এই 'বিশেষ' সব সেলফি? জবাব আসে, 'কেন করেছিলাম, সত্যিই আমি আমার মনে নেই। হয়তো মনে হয়েছিল আমাকে খুব বেশি আজকাল পড়ে দেখা যাচ্ছে না বলে দর্শকরা কি আমাকে ভুলতে বসেছেন? আমি কি জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলছি? এরকমই কিছু একটা চিন্তা থেকে হয়তো করেছিলাম। কিন্তু আজকাল খুব বেশি ওরকম সেলফি পোস্ট করি না'।