বিয়ে সুখের হয়নি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও খাতায়কলমে ডিভোর্স নেননি আজকের ‘দিদি নম্বর ১’। ছেলে রৌনকের কথা মাথায় রেখেই নিয়েছিলেন সেই সময় এই সিদ্ধান্ত। এখনও ছেলের প্রয়োজনে মুখোমুখি হন তিনি ও প্রবাল বসু। এমনকী রচনা জানিয়েছিলেন, ছেলের পরীক্ষার সময় তাকে পড়াতেও আসেন প্রবাল। তিনজনে একসঙ্গে ভ্যাকেশনে যান। হাসি মজায় কেটে যায় সময়। তবে গুছিয়ে সংসার করাটা হয়ে ওঠেনি।
এক সাক্ষাৎকারে রচনাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি ম্যারেড। হ্যাপিলি ম্যারেড বলা যায় না।’ রচনা ডিভোর্স না নেওয়ার কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, ‘ছেলে বড় হচ্ছে। আমি বা আমার স্বামী কখনও চাইনি যে ওকে শুনতে হোক যে ওর বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে।’ শুধু তাই নয়, স্বামী প্রবালকে নিজের ভালো বন্ধুও বলেছিলেন।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের অপুর সংসারে এসে নিজেকে বউ হিসেবে শূন্য দিয়েছিলেন তিনি। আর মা হিসেবে দিয়েছিলেন ১০-এর মধ্যে ৭। মাতৃত্ব থেকে তিন নম্বর কেটেছিলেন কারণ কাজের ব্যস্ততায় ছেলেকে একটু কম সময় দেন তাই। স্ত্রী হিসেবে কেন শূন্য, সেটা নিয়েও কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।
‘আমার মনে হয় স্ত্রী হিসেবে যে গুণগুলো থাকা দরকার, ভালোভাবে সংসার করার জন্য, তা আমার নেই। বরের সঙ্গে প্রচুর মানিয়ে নিলে হয়তো আদর্শ বউ হতে পারতাম। সেটা হয়তো করতে পারিনি। সবার তো নিজের একটা চিন্তাভাবনা থাকে। ভাবি আমার এটা ঠিক। অন্যজন ভাবে আমারও এটাই ঠিক।’, বলেছিলেন রচনা।
‘আমার মনে হয় আমরা যারা এই পেশায় আছি, বিশেষ করে মেয়েরা, এমন একটা মানুষকে বিয়ে করা উচিত যারা এটাকে বুঝবে। আর একই পেশায় হলে তো সবচেয়ে ভালো। আমাদের পেশাটা এত আলাদা সবের থেকে। অনেকটা বুঝতে হয় উলটো দিকের মানুষকে। তার থেকেও বেশি মানিয়ে নিতে হয়। তাহলেই হয়তো সুখে দাম্পত্য করা সম্ভব হয়।’, আরও বলেছিলেন রচনা।
যদিও স্পষ্ট কর দেন, দাম্পত্য সুখের না হওয়া নিয়ে কখনও প্রশ্ন উঠলে নিজের দিকেই আঙুল তোলেন। কারণ তিনি মানিয়ে নিতে পারেননি। তিনি সেভাবে চেষ্টা করলে হয়তো সব ঠিক হয়েও যেতে পারত। কখনও স্বামী প্রবালকে বসাননি কাঠগড়ায়। মনে করেন, দুজনের দিক থেকেই হয়তো কোনও খামতি ছিল। তাই হয়ে ওঠেনি গৃহকোণ বাঁধা।