২০১৫-র ৯ ডিসেম্বর জন্ম, তারপর দেখতে দেখে সবার অলক্ষ্যে ৭বছর পার করে ফেলেছে আদিরা। ২০২২-এর ডিসেম্বরে আদিরার ৭ পূর্ণ হয়েছে। হ্যাঁ, রানি মুখোপাধ্যায় ও আদিত্য চোপড়ার মেয়ের কথাই বলছিলাম। রানি ব্যক্তিগত জীবনে এখন ৭ বছরের এক মেয়ের মা। আদিত্য় চোপড়া পছন্দ করেন না, তাই আদিরাকে নিয়ে বিশেষ সাংবাদমাধ্যমের সামনে কখনওই আসেননি রানি। দু'একটা বাদে তাই আদিরার কোনও ছবিও সেভাবে পাওয়া যায় না নেটদুনিয়ায়। এমনকি মেয়েকে নিয়ে খুব বেশি প্রকাশ্যে কথা বলতেই শোনা যায়নি রানিকে। সম্প্রতি ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’-এর প্রচারে এসে মেয়েকে নিয়ে কথা বললেন রানি।
রানি জানান, তিনি ও আদিত্য চোপড়া দুজনেই ভীষণ ব্যস্ত, তাই নানান চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়েই আদিরাকে বড় হতে হচ্ছে। রানির কথায়, আদিরাকে ঠিক করে বড় করে তোলার জন্য তিনি অবশ্য কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন দুটির মধ্যে সমতা বজায় রেখেই চলেন। তবে তাঁর ও আদিত্যর মেয়ে আদিরা এখন থেকেই যথেষ্ঠ বুঝদার বলে জানান রানি। অভিনেত্রীর কথায় ‘করোনা মহামারী একপ্রকার ছদ্মবেশে আমাদের কাছে আশীর্বাদ হয়েই এসেছিল বলা চলে। কারণ, আদিরার যখন প্রথম স্কুল শুরু হয়, তখনই করোনা আসে, তাই আদিরার বাড়ি থেকেই স্কুল করা শুরু করে। সেসময় ওকে নিয়ে বাইরে যাতায়াত করাও আমার পক্ষে অনেকটাই সহজ হয়েছিল। এখন আবার ও চ্যালেঞ্জ শুরু হয়েছে।’
আরও পড়ুন-পিতৃতন্ত্রের গালে সপাট চড়! মায়ের লড়াইয়ের গল্পে রানির চোখ দিয়ে কাঁদল দর্শক
আরো পড়ুন-রাহা আমার আর আলিয়ার মাঝেই ঘুমোয়, ওর একটু নড়াচড়াতেই ঘুম ভেঙে যায় : রণবীর
রানি জানান, ‘আদিরা এখন প্রথম শ্রেণিতে পড়ে, এরপর ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে উঠবে। তাই কোনওভাবেই ওর স্কুলের এবং পড়াশোনার ক্ষতি হতে দিতে পারি না। তাই আমি কাজে থাকলে ওকেও আমার থেকে দূরে থাকা অভ্যেস করতে হবে, আর আমাকেও। ভবিষ্যতে এটা কীভাবে চলবে সেটা ভেবে দেখতে হবে। ’
রানি মুখোপাধ্যায় জানান, ‘এই মুহূর্তে শ্যুটিং শেষ করে বাড়ি ফিরে যাওয়াটা আমার কাছে আনন্দের। কারণ, মনে হয় বাড়ি গিয়ে আদিরার সঙ্গে থাকতে পারব, ওকে হোমওয়ার্ক করাতে পারব।’ তবে একদিন এমনও দিন গিয়েছে যখন আমি বাড়ি ফিরতে ভালো লাগত না, কাজের মধ্যেই সুন্দর সময় কাটত, তবে জীবন বদলে যাওয়ার সঙ্গে নিজেকেও বদলাতে হয়। কিছু বিষয় ত্যাগ করতেই হয়।