নাম গোপাল বেদী, তবে পর্দার দর্শক তাঁকে রঞ্জিৎ নামেই চেনেন। তবে শুধু রঞ্জিৎ নয়, তাঁর নামের সঙ্গে জুড়েছিল 'রঞ্জিৎ দ্য রেপিস্ট' শব্দগুলি। আর এটাই কিনা বলিউডে একসময় তাঁর ডাক নাম হয়ে গিয়েছিল। কারণ, তিনিই ছিলেন ৭০ ও ৮০-র দশকে বলিউডের বহু ছবির 'ভিলেন'। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
'লেহরেন রেট্রো'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রঞ্জিৎ বলেন, ‘একটা সময় ছিল, যখন ছোট-বড় চরিত্র নিয়ে প্রায় ৮০টি ছবির শ্যুটিং করেছি। কার সঙ্গে না কাজ করিনি! রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্র, সুনীল দত্ত, রাজকুমার, ঋষি কাপুর, রণধীর কাপুর,সঞ্জয় খান, ফিরোজ খান, অমিতাভ বচ্চন, কার সঙ্গে না কাজ করিনি! তবে আমার বেশিরভাগ দৃশ্য থাকত সেই ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নায়িকার শাড়ি ধরে টানা, এই সব। একটা সময় আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে তো মজা করে বলেই ফেলতাম, আগের ছবিতেই তো একই দৃশ্য ছিল, ওখান থে দৃশ্য কেটে নিয়ে নিন।’
আরও পড়ুন-ধর্ষণ ও মারধরের মামলা, সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরীমনি
আরও পড়ুন-'আমি তোমাদেরই মতো'! কাশ্মীরে গিয়ে সাধারণের সঙ্গে মিশে গেলেন সইফ কন্যা সারা
রঞ্জিতের কথায়, 'একটা সময় প্রশ্ন জাগত, আমি কার জন্য এত কাজ করছি! একসময় আমার মা মুম্বইতে আমায় দেখতে এসেছিলেন, কাজের জন্য আমি তাঁকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ছাড়তেও পারিনি।' অভিনেতার কথায়, ‘আমি কিন্তু এতকিছুর পরেও আমার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসিনি। সেসময় প্রায় সব নায়করাই রাতে মদ্যপান করতেন, আার বাড়িতে এসে পার্টি করতেন, নায়িকারাও থাকতেন। রীনা রায় পরাঠা বানাতেন, পারভিন ববি ড্রিংস দিতেন, মৌসুমী মাছ রান্না করতেন, এসব চলত আমার বাড়িতে। এদিক আমি দিনে, রাতে সব শিফটেই কাজ করতাম। কারণ নায়কদের মতো করে আমায় সময় মেলাতে হত। পরে অবশ্য পরিচালকদের বলে আমি নির্দিষ্ট শিফটে কাজ করা শুরু করি।’
প্রসঙ্গত, নিজের কয়েক দশক বিস্তৃত কেরিয়ারে রঞ্জিৎ প্রায় ২০০ টিরও বেশি হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন। ১৯৭০ সালে 'সাওয়ান ভাদোঁ' ছবির হাত ধরে অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের 'শর্মিলী'-ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে, যা রাতারাতি খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দেয়।