হিন্দি ছবির ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম দক্ষ ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে তালিকায় একেবারে ওপরের দিকেই থাকবে রেখার নাম। বড়-মাঝারি প্রায় সব পরিচালকরাই নিজেদের ছবিতে অন্তত একবার হলেও রেখার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে পুষে রাখেন। সেই ইচ্ছে ছিল সঞ্জয় লীলা বনশালিরও। হ্যাঁ, ছিল। সেইমতো নিজের বহু বছরের স্বপ্নের প্রোজেক্ট 'হীরা মান্ডি'-র একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ভেবে রেখেছিলেন রেখাকে। সেইমতো এগিয়েওছিল ব্যাপারটা। তবে এবার শোনা গেল সেই ছবি থেকে তিনি পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিলেন রেখাকে।
আসলে নিজের ছবির ভালোর স্বার্থে যেকোনও সিদ্ধান্তে আস্তে পিছপা হন না বনশালি। তা সে যতই কড়া হোক না কেন। বড় তারকাই হোন না কেন, তাঁদের ছবি থেকে ছেঁটে ফেলতে দু’বার ভাবেন না তিনি। 'গুজারিশ' এর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত রণবীর কাপুরের সঙ্গে আর কাজ করেননি এই পরিচালক। নিজের দারুণ প্রিয় দীপিকা পাড়ুকোনকে 'বৈজু বাওরা' ছবি থেকে বাইরের যাওয়ার রাস্তা দেখা একমুহূর্ত বেশি সময় নেননি যখন 'মাস্তানি' এই ছবির জন্য পারিশ্রমিকের অঙ্কের টাকাটা রণবীর সিংয়ের সমান দাবি করেছিলেন। এবার জানা গেল 'হীরা মান্ডি'-তে রেখাকে বাদ দিয়ে সেই জায়গায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে আনতে চলেছেন এই বিখ্যাত পরিচালক।
তা কেন বর্ষীয়ান কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে বাদ দিলেন বনশালি? তাও রেখার মতো অভিনেত্রীকে। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর গত কয়েক বছর ধরে পরিচালক-প্রযোজকদের পক্ষে নাকি রেখাকে সামলানো প্রায় অসম্ভবের পর্যায়ের চলে গিয়েছে। শুটিং সেটে নাকি নিজের খেয়ালখুশি মতন চলার পাশাপাশি বিস্তর ঝামেলা পাকান রেখা। তাতে শুটিং তো ব্যাহত হয়ই, পাশাপাশি প্রযোজকদেরও বেশ লোকসান হয়। কয়েক বছর আগে আদিত্য রায় কাপুরের 'ফিতুর' ছবিতে এমন কান্ড ঘটিয়েছিলেন যে রাতারাতি রেখাকে সরিয়ে তাব্বুকে আনতে হয়েছিল। গোটা ঘটনার কথা জানতে পড়ামাত্রই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাননি বনশালি। এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে একেবারেই চান না তিনি। তাঁর বহু বছরের স্বপ্নের প্রোজেক্ট 'হীরা মাণ্ডি'। এত বছর পর তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তা কে আর সাধ করে সমস্যায় পড়তে চায়?