সালটা ২০০০, মুক্তি পেয়েছিল 'কহো না প্যায়ার হ্যায়'। হৃত্বিক রোশনের ডেবিউ ফিল্ম এটি। ছবিতে হৃত্বিক-আমিশার রসায়নে মুগ্ধ ছিলেন সিনেপ্রেমীরা। ছবি ছিল ব্লকবাস্টার। সেসময় হৃত্বিকের পাশাপাশি নজর কেড়েছিল আরও এক খুদে অভিনেতা। হৃত্বিকের ভাই-অমিত এর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা অভিষেক শর্মা। মনে পড়ে সেই চরিত্রটি?
'কহো না প্যায়ার হ্যায়' মুক্তির পর প্রায় দুই দশক পার হয়েছে। হৃত্বিক রোশনকে তো প্রায়দিনই দেখেন। তবে হৃত্বিকের ভাই অমিতের চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছিলেন, সেই শিশুশিল্পী অভিনেতা অভিষেক শর্মাকে এখন কেমন দেখতে? যদিও এখন তিনি আর শিশু নেই। এখন কী করেন অভিনেতা অভিষেক শর্মা?
প্রসঙ্গত, 'কহো না প্যায়ার হ্যায়'-এর পর সেবছরই ২০০০ সালে সানি দেওলের সঙ্গে ‘চ্যাম্পিয়ন’ ছবিতেও স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন অভিষেক। সেসময় যে শিশুশিল্পীদের দর্শক আজও মনে রেখেছেন তাঁদের মধ্যে অভিষেক অন্যতম। অভিষেক বড় হওয়ার পর এখন তিনি টিভি তারকা। টেলি অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম নাম তিনি। চলুন আলাপ করা যাক, প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেতা অভিষেক শর্মার সঙ্গে।
অভিষেক যখন শিশু থেকে বড় হলেন, তখনই তিনি টেলিভিশনের দুনিয়াতে পা রেখেছিলেন। ২০০৮ সালে ‘মিলি যব হাম তুম’ সিরিয়ালের মাধ্যমে টেলিপর্দায় ডেবিউ হয় তাঁর। তারপর থেকে, তিনি বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। যেগুলির মধ্যে রয়েছে ‘গায়াব মোড অন’, ‘দিল দিয়ান গ্যাল্লন’-এর মতো টেলি শোতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয় অভিষেক শর্মা। ইনস্টাগ্রামে ১৩১হাজার অনুগামী তাঁর।
শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত জীবনে বিয়েও সেরে ফেলেছেন অভিষেক শর্মা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। ২০২২ সালে কানন শর্মার সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিষেক। কাননের সঙ্গে বিয়ের কথা তিনি নিজেই দীর্ঘ নোট শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা।
হৃত্বিকের সঙ্গে 'কহো না প্যায়ার হ্যায়'-এর হাত ধরে তাঁরও সেদিন যাত্রা শুরু হয়েছিল, এজন্য বারবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিষেক শর্মা। ইনস্টাগ্রামে হৃতিক রোশনের সঙ্গে সেই ছবির পাশে বর্তমানে নিজের ছবি পাশাপাশি রেখে অভিষেক লিখেছিলেন, ‘এটা একটি দীর্ঘ যাত্রা এবং অত্যন্ত আশীর্বাদপূর্ণ। এই দুর্দান্ত ঐতিহাসিক ছবির অংশ হতে পেরে আমি যে শিক্ষা পেয়েছি তা দীর্ঘতম সময় নিজের কাছে রেখে দিয়েছি এবং এখনও সেটা রাখা আছে। … ধন্যবাদ রাকেশ রোশন কাকু, আমাকে এই দুর্দান্ত সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমার আবেগকে জাগিয়ে তোলার জন্য। ধন্যবাদ হৃত্বিক রোশন ভাইয়া, যিনি আমাকে সবসময় আরও ভালো হতে অনুপ্রাণিত করেছেন। এই ছবির জন্য আমার শৈশবকাল অন্যরকম কেটেছে, দারুণ কেটেছে। ’