‘মোদের প্রাণ দিয়েছ আপন হাতে, মান দিয়েছ তারি সাথে….ম্লান হয় দিনে দিনে যায় ধুলাতে ঢেকে ঢেকে….’। তাঁর কালজয়ী কন্ঠে আর শোনা যাবে এই গান। সুরালোকে পাড়ি দিলেন প্রথিতযশা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রাজেশ্বর ভট্টাচার্য। তাঁর মৃত্যুতে নক্ষত্রপতন রবি গানের দুনিয়ায়। দেশে-বিদেশে সমাদৃত হয়েছে রাজেশ্বর ভট্টাচার্যের গান। সাত সমুদ্র পারে স্কটল্যান্ডে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। ভারতীয় সময়ানুসারে শুক্রবার রাত ১০.০৬ মিনিটে প্রয়াত হন শিল্পী। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সঙ্গীত জগতে। আরও পড়ুন-৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রীর আচমকা মৃত্য়ু! প্রাণ বাঁচল গর্ভস্থ সন্তানের
রবিমল্লারের কর্ণধার তথা প্রাণপুরুষ ছিলেন রাজেশ্বর ভট্টাচার্য। রবীন্দ্রসঙ্গীতের এই জনপ্রিয় শিল্পী অন্য মাত্রা দিয়েছেন রবি ঠাকুরের গানকে, তাঁর গায়েকীর কদর অটুট সবমহলে। শিল্পীর বাবা কানাইলাল ভট্টাচার্য ও মায়ের নাম রাধারাণী দেবী। ছোট থেকেই সঙ্গীতের প্রতি তাঁর টান অটুট।
গীতবিতান প্রতিষ্ঠানের কৃতী ছাত্র প্রয়াত রাজেশ্বর ভট্টাচার্য। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর অগুণতি ছাত্র। শুধু গান গাওয়া নয়, গান শেখানোয় তাঁর জুরি মেলা ভার। বিশেষত বিদেশে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করে তোলার পিছনে তাঁর অবদান কম নয়। ১৯৯৬ সাল থেকে নিয়মিত ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য় ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত রয়েছে তাঁর। স্কটল্যান্ড, লন্ডন, ফ্রান্সের নানান জায়গায় ওয়ার্কশপ আয়োজন করে তিনি।
তাঁর সঙ্গীত শিক্ষা বিদুষী মালবিকা কানন, পন্ডিত রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, কনক দাস , গীতা সেন, ছবি বন্দোপাধ্যায় মতো বিশিষ্টদের কাছে। তাঁর মৃত্যুতে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি হল রবীন্দ্রসঙ্গীতের জগতে।