রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা অথবা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি কমে যায়, তাহলে দেখা দিতে পারে অ্যানিমিয়া। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
কেন হয় অ্যানিমিয়া?
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টির ঘাটতি, সংক্রমণ, দীর্ঘস্থায়ী রোগ, গর্ভকালীন সমস্যা, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া রোগ হলে অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা যায়। তবে সকলের হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব সমান থাকে না। বাসস্থানের উচ্চতা, ধূমপানের অভ্যাস, গর্ভাবস্থার ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয় রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিনের গুরুত্ব। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, রক্তাল্পতার সবথেকে বড় কারণ হলো আয়রনের অভাব।
(আরো পড়ুন: ব্যথার চিকিৎসায় ইন্টারভেনশনাল পেন ম্যানেজমেন্ট কতটা জরুরি? কী বলছেন চিকিৎসকরা)
কীভাবে কমাবেন রক্তাল্পতার সমস্যা
পালং শাক: রক্তে যদি ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতির কারণে অ্যানিমিয়া হয় সে ক্ষেত্রে পালং শাক খেতে পারেন আপনি। পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। পালং শাক ছাড়াও কমলা লেবু, পাতি লেবু খেতে পারেন যেখানে আপনি পাবেন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা পাকস্থলীকে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে।
বিট: রক্তাল্পতা কমানোর জন্য বিট খেতে পারেন আপনি। বিট এমন একটি ফল, যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, কপার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি1, বি 2, বি 6, বি 12 ও C। এটি লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়াতে এবং শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
মোরিঙ্গা: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অনুসারে, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ভীষণভাবে উপকারী মোরিঙ্গা পাতা। পালং শাকের থেকে ২৮ মিলিগ্রাম বেশি আয়রন থাকে এর মধ্যে। এটি লাল লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধির জন্য ভীষণ দরকারী।
(আরো পড়ুন:জানলে অবাক হবেন, রবীন্দ্রনাথের বংশের আসল পদবী ‘ঠাকুর’ নয়! তবে কী ছিল)
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য আপনি তামার পাত্রে আহার করতে পারেন। তামা এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তামার পাত্রে প্রতিদিন খাবার খেলে শরীরে আয়রনের মাথা বেড়ে যায়। আপনি চাইলে তামার পাত্রে জল সংরক্ষণ করেও খেতে পারেন।
প্রসঙ্গত, শরীরে আয়রনের মাত্রা যদি কমে যায় তাহলে চেষ্টা করবেন চা এবং কফি না পান করতে। চা এবং কফির মধ্যে থাকা ট্যানিন এবং ক্যাফাইন শরীরে আয়রন শোষণকে বাঁধা দেয়, ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় না।