উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম অভীক দাস। মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্যমিকেও উত্তরবঙ্গের জয়জয়কার। অভীক আলিপুর ম্যাক উইলিয়াম হাই স্কুলের ছাত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬।
অভীকের বাবা বলেন, ছেলেকে সেভাবে সময় দিতে পারিনি। কয়েকজন গৃহশিক্ষক ছিলেন। নিট, জয়েন্টের জন্য় প্রস্তুতি নিয়েছে। অনেক রেফারেন্স বই পড়ত। গবেষণা করতে চায়। বিজ্ঞানী হতে চায় অভীক।
ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক রয়েছে অভীকের। পড়াশোনার মধ্য়েই থাকতে ভালোবাসে অভীক।
শুধু সিলেবাসের বই নয়। সিলেবাসের বাইরেও নানা বই পড়ত অভীক। সেই অভীকই এবার নজর কাড়ল উচ্চমাধ্যমিকে। শুধু আলিপুরদুয়ারের নয়, গোটা বাংলার সোনার ছেলে অভীক।
অভীক বলে, খুব ভালো লাগছে। প্রথম পাঁচের মধ্য়ে থাকব ভেবেছিলাম। মুখস্ত বিদ্যা নয়, বুঝে পড়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। টেক্সট বই শুধু নয়, মকটেস্ট দিয়েছি। তার জন্য সম্ভব হয়েছে। মা বাবা সবসময় সহায়তা করেছি। বিশ্বব্রহ্মান্ড নিয়ে জানার খুব ইচ্ছা। অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়তে চাই।
কলকাতা নয়, এবার উচ্চমাধ্য়মিকে নজর কাড়ল উত্তরবঙ্গ। মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্য়মিকেও একের পর এক সাফল্য উত্তরবঙ্গে। আলিপুরদুয়ার, মালদা সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় এবারও নজরকাড়া সাফল্য।
ছোটবেলা থেকেই মহাকাশের প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে অভীকের। আসলে মহাকাশের রহস্য বরাবরই তাকে টানে। এই যে অসীম আকাশ সেখানে আসলে কী আছে সবটা জানার চেষ্টা করে অভীক। তবে এবার হয়তো সেই স্বপ্ন তার সফল হতে পারে। সে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। এবার সে ৯৯.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। তবে বইয়ের প্রতি তার ছোটবেলা থেকে ভালোবাসা। সেই ভালোবাসার টানেই নানা ধরনের বই পড়ে অভীক। শুধু সিলেবাসের মধ্য়ে সে আটকে ছিল তেমনটা নয়। নানা ধরনের বই সে পড়ত। নানা ধরনের রেফারেন্স বই পড়ত। নানা ধরনের পরীক্ষার প্রস্তুতিও সে নিয়েছে। বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতাতেও অংশ নিত সে।
শেষ পর্যন্ত সাফল্য ধরা দিয়েছে হাতের মুঠোয়। আলিপুরদুয়ারের পূর্ব অরবিন্দনগরের বাসিন্দা সে। বাবা প্রবীর কুমার দাস সবসময় ছেলের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। পড়াশোনায় নানা ভাবে উৎসাগ দিয়েছেন তিনি। মাও নানাভাবে অভীকের পাশে থেকেছেন। আর এত বড় সাফল্য়ের পরে অভীকও জানায় আমার এই সাফল্যের পেছেনে বাবা মায়ের অবদান সবার আগে। বাবা মা আমায় সবসময় সহায়তা করেছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমি।