রূপের পাশাপাশি বুদ্ধিতেও যে তাঁকে টেক্কা দেওয়া সহজ নয়,সেকথার প্রমাণ একাধিকবার ঐশ্বর্য রাই বচ্চন দিয়েছেন তাঁর চৌখস জবাবের সুবাদে। দক্ষ অভিনয়ের সঙ্গে এই বলি-সুন্দরীর বুদ্ধিদীপ্ত কথা ও রসবোধে মুগ্ধ হয়েছে তামাম দর্শক। একবার ভরা সাংবাদিক বৈঠকে ঐশ্বর্যকে হঠাৎ জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তিনি তাঁর স্বামী অভিষেককে সেইমুহূর্তে মিস করছেন কি না। নায়িকার চটজলদি জবাব শুনে বৈঠক জুড়ে উঠেছিল হাসির রোল।
২০১৭ সালে ওই সিনেমা সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে দেখানো নিজের ছবির প্রোমো দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ঐশ্বর্য। এরপরেই নায়িকার উদ্দেশে এক সাংবাদিক মজার ছলেই প্রশ্ন করে বসেন এই আবেগতাড়িত মুহূর্তে ঐশ্বর্য তাঁর স্বামী অভিষেককে মিস করছেন কি না। ওই পরিস্থিতিতে এহেন প্রশ্ন শুনে প্রথমে হতবুদ্ধি হয়ে গেলেও চোখ পাকিয়ে হাসিমুখে নায়িকার চটপট জবাব,'শুধু এই প্রশ্নটাই করার জন্যই বুঝি অপেক্ষা করছিলেন?'
সামান্য থেমে ঐশ্বর্য আরও বলেন, 'কী বলব বলুন তো? এই তো এসব শেষ করেই আধ ঘন্টার মধ্যেই বাড়ি ফিরব। তারপরেই অভিষেকের সঙ্গে দেখা হইবে,কথা হবে।' নায়িকার জবাব শুনে উপস্থিত সাংবাদিক ও দর্শকদের মধ্যে ততক্ষণে হাসির গুঞ্জন উঠেছে। তা সত্বেও নাছোড়বান্দা ওই সাংবাদিক ঐশ্বর্যকে ফের প্রশ্ন করেন অভিষেকের সঙ্গে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত স্মৃতি তিনি শেয়ার করবেন কি না। অভিনেত্রীর চটজলদি জবাব,' আমরা একসঙ্গে থাকি।আছি। একসঙ্গে জীবন কাটাচ্ছি, কাটিয়ে যাবও। ব্যাস, এটুকুই!'
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অভিষেক-ঐশ্বর্য। এরপর ২০১১ সালে তাঁদের কন্যা সন্তান আরাধ্যার জন্ম হয়। শেষবার বড়পর্দায় ঐশ্বর্যকে দেখা গেছিল 'ফ্যানি খান' -ছবিতে রাজকুমার রাও এবং অনিল কাপুরের সঙ্গে।